দল জিতলেও মৃত্যুর হুমকি পান বায়ার্ন কোচ

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৭:১০

সাহস ডেস্ক

কোয়ার্টার ফাইনালের ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে হেরে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। এর পরেই সমর্থকদের রোষালে পরতে হয়েছে বায়ার্ন কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানকে। এটা শুধু তাকে ঘিরেই নয় বরং দল ভালো না করতে পারলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায় এসে পড়ে কোচের ওপর। তবে বায়ার্ন কোচ নাগেলসমানের অভিজ্ঞতাটা একটু ভিন্ন। বায়ার্ন মিউনিখ ভালো খেললেও নাকি মৃত্যুর হুমকি পান তিনি!

চলতি মৌসুমের প্রেক্ষাপটে বায়ার্ন ভক্তরা হতাশ ও ক্ষিপ্ত হতেই পারেন। বুন্ডেসলিগা জয়ের পথে অনেকটা এগিয়ে থাকলে নাগেলসমানের দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছিটকে গেছে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকেই। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলে অগ্রগামিতায় তাদের বিদায় করে দেয় স্প্যানিশ দল ভিয়ারিয়াল।

এর আগে জার্মান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে বায়ার্ন। ফলে ২০২১-২২ মৌসুমে কেবল লিগ শিরোপা জেতাই সম্ভব তাদের জন্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের পাশাপাশি তাই ভক্তদের আক্রমণের লক্ষ‍্য হয়েছেন চলতি মৌসুমেই দলটির দায়িত্ব নেওয়া নাগেলসমান। তবে সেটা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এই জার্মান কোচ।

“প্রতিটি ম্যাচের পর আমি (মৃত্যুর হুমকি) পেয়ে থাকি, সেটা আমরা জিতলে বা হারলেও। আমি শুধু প্রথম লাইনটা দেখি এবং এরপর সব একবারে মুছে দেই।”

“তারা আমার মাকেও ছাড় দেয় না, যার ফুটবলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এটা বেশ অবমাননাকর।”

সমর্থকদের এসব লাগামহীন কর্মকাণ্ডের কোনো মানে খুঁজে পান না নাগেলসমান। এসব পাত্তা না দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেই মনোযোগ দিতে চান তিনি।

“আমরা যখন ডিফেন্সে তিন জন নিয়ে খেলি তখন আরও মৃত্যুর হুমকি থাকে। আমি এটা কীভাবে মোকাবেলা করব? আমি এসব একদমই পাত্তা দিই না। আমি এর কারণ বুঝতে পারি না। টিভি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে লোকেরা তাদের শালীনতা ভুলে যায়। কিন্তু এগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তারা মনে করে যে তারাই সঠিক।”

"আমি মনে করি না, ক্লাব নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে এসব পেছনে ফেলে এগিয়ে যাই। আমি এখন কাউকে উস্কে দিতে চাই না।”

লিগে আগামী ১৭ এপ্রিল আর্মিনিয়ার বিপক্ষে মাঠে খেলবে বায়ার্ন। ২৯ ম্যাচে ২২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নাগেলসমানের দল। সমান ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত