সৌম্য-নাঈমে বাংলাদেশের শততম ম্যাচ উদযাপন
প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০২১, ২০:৫৬ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২১, ২১:০৮
আজ বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগিতক জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ১৫২ রান করে অলআউট হয় সিকান্দার রাজার দল। তবে ১৫৩ রান তারা করতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈমের দৃঢ়তায় শততম ম্যাচ জয়ের উদযাপন করল টাইগাররা। এই জয়ে তিন সংস্করণেই শততম ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর খুলনায় এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির যাত্রা। যা আজ একশত ম্যাচে দাঁড়িয়েছে। সেদিন জিম্বাবুয়েরও প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৭ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
শততম ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈম দেখালেন তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিং। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট চালিয়েছেন এই দুই ওপেনার। যার ফলে ৮০ বলে ১০২ রানের জুটি বাঁধেন দুজনে, করেন দুজনেই হাফসেঞ্চুরি।
হাফসেঞ্চুরির পর সৌম্য সরকার
তবে হাফসেঞ্চুরি করেই রান আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়েন সৌম্য। ১৩তম ওভার শেষে সৌম ৪৯ রান। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ২ রান নিয়ে ৫১ রান করে করেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু দেখা যায় এই দুই রান নিতে দিয়ে মাসাকাদজার থ্রো থেকে উইকেটরক্ষক চাকাভার হাতে রান আউট হন সৌম্য। এতে এক রান কাটা যায় এবং ৫০ রানে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করে মাঠ ছাড়েন সৌম্য সরকার। ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ফিফটিটি করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
তবে এই রানে হাজারের মাইলফলকে পৌঁছান সৌম্য। বাংলাদেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছেছেন ২৮ বছর বয়সী এ মারকুটে ব্যাটার। এ রেকর্ডে নাম লেখানো বিশ্বের ৬৯তম ব্যাটার তিনি।
এরপর নামের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি নেমে একটু তারাহুড়ো করেই খেলেন। জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে দরকার ৩৮ রান। উইকেটে ৪৯ রানে অপরাজিত মোহাম্মদ নাঈম। অন্য প্রান্তে ১০ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরিটি তুলে নেন নাঈম। ৪০ বলে ৫ চারে ৫০ রানে অপরাজিত তিনি।
মোহাম্মদ নাঈমের হাফসেঞ্চুরি
তার পরের ওভারেই রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৭তম তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। মুজারাবানির সরাসরি থ্রো-য়ে রান আউট হন। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ১টি বাউন্ডারিতে ১৫ রান করেন অধিনায়ক।
এরপর নামেন নুরুল হাসান সোহান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুজারাবানিকে ছক্কা মেরে জয়কে সময়ের ব্যাপারে পরিণত করেন নুরুল হাসান। পরে ৯ বলে দরকার ৩ রান। মুজারাবানির এই ওভারের ৫ম বলে চার মেরে দলকে জয় এনে দেন মোহাম্মদ নাঈম। অপরাজিত ইনিংস খেলে নাঈম করেন ৫১ বলে ৬ চারে ৬৩ রান। এতে শততম ম্যাচটি উদযাপন করে বাংলাদেশ।
টসে জিম্বাবুয়ের জয়
এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারের ১৯ ওভারে অলআউট হয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরি ২৩ বলে ১ ছক্কায় ২৩ রান করে সাকিবের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরন। তার আগে আরেক ওপেনার মারুমানি মাত্র ৭ রান করে মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
এরপর প্রায় হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও ব্যার্থ হলেন তিন নাম্বারে নামা চাকাভা। ২২ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪৩ রান করে রান আউন হন চাকাভা। এরপর শরিফুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ডিওন মায়ার্স। তিনি ফেরার আগে ২২ বলে ২ চারে ৩৫ রান করেন। পরে লুক জঙ্গি ২ চারের সাহায্যে ১৮ রান করেন। এছাড়া আর কেউ ভালো করতে পারেননি। অবশেষে ১৯ ওভারে ১৫২ রান করে গুটিয়ে যেতে হয় জিম্বাবুইয়ানদের।
মোস্তাফিজুর রহমান
বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ৩টি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলাম ২টি করে এবং সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরা হয়েছে সৌম্য সরকার।
শততম টি-টোয়েন্টিতে কার কি ফল