স্বপ্ন দেখার জন্য সেরা জায়গা পিএসজি: রামোস

অবশেষে প্যারিসেই পাড়ি জমালেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সের্হিও রামোস। স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ১৬ বছরের সম্পর্ক শেষ করে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) যোগ দিয়েছেন অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে পিএসজির অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে রামোসের যোগদানের খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পিএসজির বিভিন্ন ভাষার অ্যাকাউন্ট থেকে করা টুইটগুলোর ভাষ্য একই, পিএসজি আনন্দের সঙ্গে সের্হিও রামোসের আগমনের কথা জানাচ্ছে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার দুই বছরের জন্য চুক্তি করেছে, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।

জুন মাসে শেষ হয়েছে রিয়াল-রামোসের ১৬ বছরের সম্পর্ক। এরপর রামোসের সাথে আর কোনো চুক্তি করেননি রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কিন্তু পিএসজি রামোসকে গুরুত্ব দিয়ে দুই বছরের চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব বুঝে নেওয়ার আশায় থাকা পিএসজি এবার রামোসের নেতৃত্বের গুণটাকেও পাচ্ছে।

ক্যারিয়ারে আরও বড় কিছু জেতার স্বপ্ন দেখেন, আর সেটা পূরণ করতে পিএসজিকেই ভরসা করে ক্লাবের ওয়েবসাইট থেকে রামোস জানান, ‘স্বপ্ন দেখার জন্য সেরা জায়গা, জয়ের ধারা ধরে রাখার জন্য সেরা ক্লাব এটি। সবকিছু জেতার জন্য আমরা লড়তে চাই।’

চুক্তি স্বাক্ষরের পর রামোস আরো জানান, ‘পিএসজিতে যোগ দিতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমার জীবনে খুব বড় এক পরিবর্তন এটি, নতুন চ্যালেঞ্জ এবং এমন একদিন, যা কখনো ভুলব না। উচ্চাভিলাষী এক প্রকল্পের অংশ হতে পেরে, এত দারুণ সব খেলোয়াড়ের স্কোয়াডে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। প্যারিস সেন্ট জার্মেই এমন ক্লাব, যারা শীর্ষ পর্যায়ে নিজেদের প্রমাণ করেছে। আমি প্যারিসে এসে আরও ভালো করতে চাই এবং যত সম্ভব ট্রফি জিততে চাই।’

নিজের প্রিয় ৪ নম্বর জার্সিটি পিএসজিতেও পরবেন রামোস। তা আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানিয়ে দিয়েছে পিএসজি। এ ব্যাপারটি গতকালই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এই সুবাদেই সবাই নিশ্চিত হয়েছিল রামোস পিএসজিতেই যাচ্ছেন। এ নিয়ে রামোস বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি বেশ কুসংস্কারে বিশ্বাস করি। আমি ৪ নম্বর ভালোবাসি। কারণ, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এ জার্সি পরছি এবং ক্যারিয়ার ও জীবনে এ সংখ্যা আমাকে অনুসরণ করেছে। অনেক ভাগ্য আর বিজয় এনে দিয়েছে। একজন মানুষ ও পেশাদার হিসেবে আমার অংশ এই ৪ নম্বর। পিএসজির মতো দারুণ এক ক্লাবে এ জার্সি পরাটা গর্বের ব্যাপার। প্যারিসে ৪ নম্বর জার্সিটা পরাটা বিশেষ কিছু।’