‘ছায়া জাতীয় দল’ তৈরির ঘোষণা বিসিবি সভাপতির

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বাইরে ‘বাংলাদেশ টাইগার্স’ নামে একটি নতুন ‘ছায়া জাতীয় দল’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আপাতত স্থানীয় কোচরাই দেখবেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো ক্রিকেটারদের। 

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমের সামনে এই ঘোষণা দেন।

বিসিবি সভাপতি বলেন, কিছু দিন আগে আমরা একটা ছায়া জাতীয় দলের কথা বলেছিলাম আপনাদেরকে। আজ বোর্ডে সেটা অনুমোদনও পেয়ে গেল। বাংলাদেশ টাইগার্স নামে একটা ছায়া জাতীয় দল আমরা গঠন করতে যাচ্ছি।

বোর্ড সভাপতি বলেন, শ্যাডো জাতীয় দল। জাতীয় দলে ডাক না পাওয়ারা এই দলের হয়ে খেলবেন। জাতীয় দলের অনুশীলনের যেকোনও সুবিধা তারা পাবে। তাদের দলের বাইরে থাকার সময় কীভাবে নিজেদের তৈরি রাখবে এই চিন্তা থেকে এই শ্যাডো জাতীয় দল তৈরি হয়েছে। এখানে কোনও একটা পজিশনে যদি ক্রিকেটার বাছাই করতে হয়, এই দল থেকে সরাসরি নিয়ে নেবে। এক পজিশনের জন্য কয়েকজন ক্রিকেটার থাকবেন। যেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক হয়।

শ্যাডো দলের সুবিধা উল্লেখ করতে গিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেন, এটার ব্যাকগ্রাউন্ড হয়ত আপনারা জানেন। তারপরও আরেকবার বলে নিচ্ছি। জাতীয় দলে যারা খেলে তারা যদি কোনো সিরিজে ডাক না পায়...উদাহরণস্বরূপ ইমরুল কায়েস বা সৌম্য সরকার দলে ডাক পায়নি, ওরা নাকি তখন অনুশীলন করার সুযোগ পায় না। আমাদের সুবিধাদি ব্যবহার করতে পারে না। এটা তো একটা বড় সমস্যা।

তিনি আরও বলেন, ওরা কোথায় অনুশীলন করবে? ওদের কারও যদি কোনো ঘাটতি থাকে কেউ যদি দল থেকে বাদ পড়ে তাহলে ও শিখবে কোথায়? আমরা ঠিক করেছি, সারা বছর আমাদের এখানে ট্রেনিং চলবে। এখন পর্যন্ত আমাদের ইচ্ছা হচ্ছে স্থানীয় কোচিং স্টাফ থাকবে। এক্ষেত্রে প্রধান কোচের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে।

বিসিবি সভাপতি বলেন, ধরুন ওপেনিংয়ে একজন খেলোয়াড় নেই। খেলবে না অথবা চোটে বা কোনো কারণে নেই। তখন আমরা ট্রায়ালের মত একেকদিন একেকজনকে নিয়ে চেষ্টা করি। আজকে একে করি, কালকে ওকে করি। আমাদের যদি প্রস্তুত থাকত, যদি জাতীয় দলে দরকার হয় কে যাবে...এভাবে এক নম্বর, তিন নম্বর, সাত নম্বর-পজিশন অনুযায়ী কোচ চাহিদার কথা বলে দিবে ওই অনুযায়ী আমরা খেলোয়াড়দের সারা বছর ট্রেনিং দিব। যাতে জাতীয় দলের প্রয়োজনে সাথে সাথে বিকল্প হিসেবে চলে যেতে পারে।

জাতীয় ছায়া দল পরিচালনা করবেন বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ ও খালেদা মাহমুদ সুজন। এছাড়া বোর্ড সভায় মুশফিক-তামিমদের দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমনের মেয়াদ আবারও বাড়ানো হয়েছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে তাদের মেয়াদ।