আইসিসির মাস সেরা খেলোয়াড় মুশফিক

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২১, ১৫:৪৯

সাহস ডেস্ক

আইসিসির পুরুষ বিভাগে মে মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম। এই সেরার দৌড়ে মুশফিকের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন আরও দুজন-পাকিস্তানের হাসান আলী ও শ্রীলঙ্কার প্রভিন জয়াবিক্রমা। ভোটাভুটিতে এ দুজনকে পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের এই উইকেটররক্ষক-ব্যাটসম্যান।

সোমবার (২৪ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি। মেয়েদের বিভাগে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রিজ।

মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন মুশফিক। প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করেন ১২৫ রান। তৃতীয় ওয়ানডে ২৮ রান করেন তিনি। তবে শেষ ম্যাচে ভালো না করলেও তিন ম্যাচ মিলিয়ে ৭৯ গড়ে ২৩৭ রান করেছিলেন মুশফিক।

অসাধারণ এ পারফরম্যান্সের সুবাদে চলতি মাসের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে যে ভোটাভুটি হয়, সেটার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিক।

মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব বেশি খেলা ছিল না। এপ্রিলের ২৯ তারিখ শুরু হয়ে ৩ মে শেষ হওয়া বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছিল পুরস্কারের জন্য। সেই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট নিয়ে মনোনয়ন পেয়েছিলেন লঙ্কান প্রবীন জয়াবিক্রম।

অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচে দুই ফাইফার তথা ৫ উইকেটসহ মোট ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলি। কিন্তু এ দুজনের পারফরম্যান্স যথেষ্ট হয়নি মুশফিকের সামনে।

আইসিসির ভোটিং একাডেমির প্রতিনিধি ও ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে ১৫ বছর খেলার পরও মুশফিকুর রহিমের রান–খিদে একটুও কমেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে তিনি নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৫ রানের ইনিংসটি ছিল ধারাবাহিকতার ছবি, যা বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। তার ইনিংসটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়। মিডল অর্ডার আগলে রেখে তার দাপুটে উইকেটকিপিং ফিটনেস ও দক্ষতার প্রমাণ দেয়।’

এদিকে নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্কটল্যান্ডের অলরাউন্ডার ব্রিজের সঙ্গে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইস ও লিয়া পল। পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসের সংক্ষিপ্ত তালিকাটা আইসিসিই করে দেয়। সেই তালিকা থেকে দুই বিভাগের সেরা দুজন নির্বাচন করেন আইসিসির স্বাধীন ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেটভক্তরা।

ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর সাবেক ক্রিকেটার, অভিজ্ঞ সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার ও আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া কিছু ক্রিকেটার আছেন আইসিসির ভোটিং একাডেমিতে। আছেন সহযোগী সদস্যদেশের দুজনও। খেলোয়াড় নির্বাচনে ভোটিং একাডেমির সদস্যদের ভোটের গুরুত্বই বেশি। ই-মেইলে ভোট দেন সদস্যরা।

চূড়ান্ত ভোটের হিসাবের ৯০ শতাংশই নেওয়া হয় ভোটিং একাডেমি থেকে। বাকি ১০ শতাংশের হিসাব আসে সমর্থকদের অনলাইন ভোট থেকে। খরব প্রথম আলোর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত