১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের অলেম্পিক ছাড়ার কারণ করোনা ও যৌনবিদ্বেষ

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২১, ২০:১৭

ক্রীড়া ডেস্ক

২০৫টি দেশ নিয়ে টোকিও অলিম্পিক গেমস উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ২৩ জুলাই। অর্থাৎ এখনো ৫০ দিন বাকি। এর মধ্যেই গতকাল বুধবার টোকিও অলিম্পিকের প্রধান সেইকো হাশিমোতো নিক্কান স্পোর্টস ডেইলিকে জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে ও দেশগুলোর প্রতিনিধিরা যদি আসতে না পারেন, তাহলে আমরা (আয়োজন করতে) পারব না। কিন্তু এমন কিছু না ঘটলে গেমস বাতিল হবে না।’

যদিও জাপানে জনমতের অধিকাংশই গেমস আয়োজনের বিপক্ষে। কারণ জাপানে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ হানা দিয়েছে। টোকিওতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

টোকিও অলিম্পিকের প্রধান সেইকো হাশিমোতো

এরই মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা, যৌনবিদ্বেষ বিতর্ক এবং সূচির জটের কারণে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক অলিম্পিক থেকে সরে গেছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

বুধবার গেমসের প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুতো জানান, মোট ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কর্মী গেমস ছেড়েছেন। বেশির ভাগই করোনায় সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা থেকে ছেড়ে গেছেন।

যেকোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্বাচ্ছন্দ্যে আয়োজন করতে স্বেচ্ছাসেবক নেওয়ার রীতি নতুন কিছু নয়। তবে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা ছাড়াও যৌনবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদেও কিছু স্বেচ্ছাসেবক গেমস ছেড়েছেন। হাশিমোতোর পূর্বসূরি এর আগে এমন মন্তব্য করে টোকিও অলিম্পিক প্রধানের পদ ছাড়তে বাধ্য হন।

টোকিও অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির সাবেক প্রধান ইয়োশিরো মোরি

গত ফেব্রুয়ারিতে টোকিও অলিম্পিকের সাবেক প্রধান ইয়োশিরো মোরি যৌনবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে বলেছিলেন, মিটিংয়ে নারীরা বেশি কথা বলেন এবং সময় অপচয় করেন। তার এই কথায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।

মুতো জানিয়েছেন, হাজার দশেক স্বেচ্ছাসেবক চলে গেলেও গেমস আয়োজনে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। টোকিও অলিম্পিকে বিদেশি দর্শক থাকার সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। জাপানের দর্শকেরা গেমস দেখতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে ২০ জুন টোকিওতে জরুরি অবস্থান উঠে যাওয়ার পর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত