মিরাজের পর তাসকিন ও তাইজুলের আঘাত

মেহেদী হাসান মিরাজ

বাংলাদেশের দেওয়া ৫৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১১৪ রানের বড় একটি জুটি করে ফেলে লঙ্কান দুই ওপেনার দিমুথ করুনারন্তে ও লাহিরু থিরিমান্নে। আর এই জুটি ভেঙে লাহিরুকে বিদায় দিয়ে ব্রেক-থ্রু করে মিরাজ। তারপেরই তাসকিনের আঘাত। ওশাদা ফার্নান্দোকে ক্যাচের ফাঁদে ফেলে বিদায় কারে। তাসকিনের পর তাইজুলের আঘাত। অঞ্জেলো ম্যাথিউসের স্ট্যাম্প ভেঙে বিদায় জানায় এই স্পিনার।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টের আজ তৃতীয় দিনে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৪১ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।

তৃতীয় দিনে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ১১৪ রানের একটি জুটি করে ফেলে দিমুথ করুনারন্তে ও লাহিরু থিরিমান্নে। ৩৯তম ওভারে শেষ বলে মিরাজের হাতে এলবিডব্লিউর শিকার হয় লাহিরু। যদিও কিছু ভেবে রিভিউ নিয়েছিল লাহিরু, তবে রিভিউতে পরিস্কার আউট দেখে সাজঘরে ফেরে লঙ্কান ওপেনার। ফিরে যাওয়ার আগে ১২৫ বলে ৮ চারে ৫৮ রান করে লাহিরু থিরিমান্নে।

প্রথম উইকেট জুটিতে ১১৪ রান করলেও দ্বিতীয় উইকেটে বেশি আগাতে পারেনি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি করে ওপেনার দিমুথ করুনারন্তে ও ওশাদা ফার্নান্দো। মিরাজরে পর এই জুটিতেও আঘাত হানে তাসকিন আহমেদ। ৫৩.৩ ওভারের সময় তাসকিনের বলে কিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওশাদা। ফেরার আগে ৪৩ বলে ৪ চারে ২০ রান করে ওশাদা ফার্নান্দো।

তাসনিক আহমেদ

এরপর ওপেনার করুনারন্তকে সঙ্গ দিতে আসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। দুজনে মিলে করেন ৩৩ রানের জুটি। আর তখনি আসে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণির আঘাত। ৬৩তম ওভারের তৃতীয় বলটি আটকাতে পারল না ম্যাথিউস। তাইজুলের সুইং বলটি গিয়ে আঘাত হানে ম্যাথিউসের অপস্ট্যাম্পটি। এতেই তিনি গুটিয়ে যায়। ৩২ বলে ৪ চারে ২৫ রান করে ফেরে অ্যাঞ্জেল ম্যাথিউস।

তাইজুল ইসলাম

তার পরে ওপেনার করুনারন্তকে সঙ্গ দিতে আসেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা। ৮১ রান নিয়ে এখনো অপরাজিত আছেন করুনারন্তে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা- দিমুথ করুনারন্তে ৮১*, লাহিরু থিরিমান্নে ৫৮, ওশাদা ফার্নান্দো ২০, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৫, ধনঞ্জয় ডি সিলা ১৯*। মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম ১টি করে উইকেট নেন।

বাংলাদেশ- তামিম ইকবাল ৯০, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬৩, মুমিনুল হক ১২৭, মুশফিকুর রহিম ৬৪*, লিটন কুমার দাস ৫০। বিশ্ব ফার্নান্দো ৪টি এবং লাকমল, লাহিরু কুমারা ও ধনঞ্জয় ডি সিলাভা ১টি করে উইকেট নেন।