দুর্নীতির অভিযোগে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হিথ স্ট্রিক

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২১, ১৩:৪২

বিবিসি বাংলা

দুর্নীতির অভিযোগে সকল প্রকার ক্রিকেট থেকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসির এক তদন্তে উঠে এসেছে হিথ স্ট্রিকের সাথে ভারতের সন্দেহভাজন একজন জুয়াড়ির যোগাযোগ ছিল। আইসিসি ওই জুয়াড়ির সাক্ষাৎকার নিলেও তার নাম প্রকাশ করেনি।

আইসিসি বলছে, তাদের মধ্যে যোগাযোগের সময় হিথ স্ট্রিক জিম্বাবুয়ের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি সেসময় এশিয়ায় টি-টোয়েন্টির কয়েকটি দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।

হিথ স্ট্রিক ওই ভারতীয়র কাছে জাতীয় দলের একজন অধিনায়কসহ নানা ম্যাচ এবং অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে যোগাযোগের বিভিন্ন তথ্য পাচার করতেন বলে উঠে এসেছে তদন্তে।

এর বদলে ওই ভারতীয়র কাছ থেকে দুটো বিটকয়েন ও স্ত্রীর জন্য একটি আইফোন পেয়েছেন হিথ স্ট্রিক, বলছে আইসিসি।

জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিথ স্ট্রিক। তিনি বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

আইসিসি বলছে, ২০১৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১৮ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং ২০১৮ আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের নানা তথ্য হিথ স্ট্রিক ওই ভারতীয়র কাছে পাচার করেন যা বিভিন্ন ম্যাচে জুয়া খেলার জন্য প্রয়োজন ছিল।

আইসিসি বলছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও তাকে দুর্নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং সেই তথ্য তিনি গোপন করেছেন।

হিথ স্ট্রিক ভারতীয় সেই ব্যক্তির সাথে চারজন ক্রিকেটারের যোগাযোগ করিয়ে দেন।

তার বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হচ্ছে উপহার, অর্থ, আতিথ্য বা সুবিধা গ্রহণ করেও তদন্তের সময় তা আইসিসির কাছে প্রকাশ না করা।

আইসিসির তদন্ত রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের সাবেক এই বোলিং কোচ, আইসিসির কাছে তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন এবং ফোনের মেসেজ ডিলিট করে দেন।

আইসিসির ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, "হিথ স্ট্রিক একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও কোচ। তিনি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তিনি সম্পূর্ণ অবগত এসব বিষয়ে।"

"সাবেক অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে তার ওপর বিশ্বাস ও দায়িত্বের প্রতি দৃঢ়তার একটা জায়গা ছিল যেটা তিনি নষ্ট করেছেন। আইসিসির নীতিমালা ভেঙ্গেছেন এবং তদন্তে দেরি করিয়েছেন।"

তবে হিথ স্ট্রিক যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন সেগুলো কোনো ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলেনি বলে জানিয়েছে আইসিসি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত