কোচের ব্যাখ্যায় শতভাগ সন্তুষ্ট হতে পারেননি কাজী সালাউদ্দিন

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:০৫

সাহস ডেস্ক

২৪ জন খেলোয়াড় নিয়ে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা) আয়োজিত ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ। দলের পরীক্ষার জন্য এই ২৪ জন খেলোয়াড়েরর মধ্য থেকে দুটি দল বানিয়ে ছিলেন কোচ জেমি ডে। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কিরগিজস্তান অনুর্ধ্ব-২৩ এর বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি দল নামান কোচ। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ জোলের জয় পায়। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে নামে টাইগারদের বাকি দলটি। সে ম্যাচটি জিততে না পারলেও গোলশূন্যতে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয় বাংলাদেশ।

এরপর টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে আবারো নেপালের মুখোমুখি হয় জেমি ডের দল। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা নেপালের বিপক্ষে সেরা একাদশ নামিয়ে ছিলেন কোচ। প্রথম দুই ম্যাচে খেলানো দুই দল থেকে পাঁচজন ও ছয়জন করে সেরা একাদশটি নামিয়ে ছিলেন টাইগার বস। আর এই সেরা একাদশকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে স্বাগতিক নেপাল। এরপরই ফাইনালের দল গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কোচের দিকে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।

ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনও। যে কারণে দল ঢাকায় ফেরার দু’দিন পরই শনিবার (৩ এপ্রিল) কোচ জেমি ডে এবং তার সহকারী স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসকে জরুরি তলব করে ফাইনাল ম্যাচের নানা বিষয়ে কৈফিয়ত চেয়েছেন বাফুফে সভাপতি।

ফাইনালেও কেন দল নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হলো? বাফুফে সভাপতির এমন প্রশ্নের জবাবে কোচ জেমি ডে তার নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি কাজী মো. সালাউদ্দিন।

কোচের সঙ্গে আলোচনার পর বাফুফে সভাপতি বলেছেন, গণমাধ্যম ও কোচের মতামতের মধ্যে ভিন্নতা আছে। কোচ বলেছেন- সে তার সেরা একাদশই নামিয়ে ছিলেন ফাইনালে।

তিনি বলেন, আমরা কিছু বিষয়ে অবশ্য ভিন্নমত প্রকাশ করেছি। কারণ, একেকজনের ব্যাখ্যা একেক রকম হয়। সব সময় মিলবে না। মাঝে মধ্যে এক হতে পারে। কোচ তার নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে আমি শতভাগ সন্তুষ্ট নই। ওর কথায় যে যুক্তি নেই সেটাও নয়।

একাদশ, কোচের কৌশল- এসবের বাইরে আরেকটি বড় বিষয় হলো খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে কত ওই জায়গায় কতটা তৃপ্ত বাফুফে সভাপতি?

কাজী সালাউদ্দিন আরো বলেন, আমি চেয়েছিলাম কোচের সঙ্গে বসে যেভাবে আলোচনা করলাম সেভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসেই বিস্তারিত আলোচনা করবো; কিন্তু ফেডারেশনে আসার পর শুনলাম লকডাউন হতে পারে। যদি লকডাউন না থাকে তাহলে দলের সিনিয়র ৭-৮ জনকে নিয়ে বসে আজকের মতোই আলেচনা করবো। কারণ, এখন আমাদের একটা জায়গায় পৌঁছাতেই হবে। আমদের সামর্থ্য যা আছে তার চেয়ে বেশি দিয়ে চেষ্টা করছি। এখন আমাদের সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে সাফল্য আনতে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত