পুলিশের কাছ থেকে রক্ষা পেল না শেখ জামাল

যখনই এগিয়ে যায় শেখ জামাল তখনই টেনে ধরে পুলিশ। ১০, ৪০ ও ৪৯ মিনিটে শেখ জামাল এগিয়ে গেলেও ৩৩, ৪৫+১ ও ৬৯ মিনিটে সমতায় ফিরেছে পুলিশ। এরকম তিন তিনবার এগিয়ে গিয়েও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ধানমণ্ডির ক্লাবটি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে রোমাঞ্চকর ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিপক্ষে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হলো শফিকুল ইসলাম মানিকের শিষ্যদের।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। এর আগে ঢাকা আবাহনী, বসুন্ধরা কিংস ও বারিধারার বিপক্ষে ড্র করেছিল তিনবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

এদিন ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে শেখ জামাল। ম্যাচের ১০ম মিনিটে শেখ জামালের হয়ে গোলটি করেন ওমর জোবের। কিন্তু লিড ধরে রাখতে পারেনি শেখ জামাল। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে বাংলাদেশ পুলিশকে সমতায় ফেরান মুরোলিমজোন আখমেদভ।

আবারো এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ম্যাচের ৪০ মিনিটে গোলটি করেন আতাবেক ভালিদজানোভ। এবারও তাদেরকে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে দেয়নি পুলিশ। প্রথমার্ধের যোগ করা প্রথম মিনিটে অর্থাৎ ৪৫+১ মিনিটে ফ্রেদেরিক পুদার গোলে সমতায় ফেরে পুলিশ এফসি। পরে এই ২-২ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতি থেকে ফিরে আসার চার মিনিট পরেই আবারো এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে দলের এই তৃতীয় গোলটি করেন সলোমন কিং কানফর্ম। এই লিড নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে ধানমণ্ডির ক্লাবটি। কিন্তু মানিকের শিষ্যদের দুর্ভাগ্য, ২০ মিনিট পরে আবারো সমতায় ফেরে পুলিশ। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে গোল করে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচান মোহাম্মদ জুয়েল। অবশেষে জিততে পারলোই না শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে এই ৩-৩ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

৯ ম্যাচে টানা চার ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়তে নেমে গেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ৮ম স্থানে আছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ১০ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে আছে আবাহনী লিমিটেড। ১০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট টেবিলের নিয়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা কিংস।