তামিম ফিফটিতেই ফিরলেন, সাথে আরো ৩ উইকেট

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৩ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫:০৮

অনলাইন ডেস্ক

জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ২৩১ রান। অর্থাৎ নিজেদের আগের সব রেকর্ড ভেঙে জিততে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ২১৭ রানের। সে রেকর্ডটাও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। সেলক্ষ্যে দুরন্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ।

রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ তুলেছে ৫৯ রান। এর মধ্যে তামিম ইকবালেরই ৪৪ রান। টেস্টকে ওয়ানডে বানিয়ে ছাড়ছিলেন এ ড্যাশিং ওপেনার। কিন্তু টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি তুলে নিয়ে আর উইকেটে থাকতে পারলেন না তিনি। ব্রাথওয়েটের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট কভারে শেন মোসলের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন তামিম। মনে হলো যেন মোসলেকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ বলে ৫০ রান করে তামিম। তারপরে তার দায়িত্ব শেষ।

ক্যারিবীয় অধিনায়কের জোড়া আঘাতে কিছুটা হলেও কমে গেছে বাংলাদেশের রান তোলার গতি। তামিমের আগে ব্রাথওয়েটের শিকার সৌম্য সরকার।

শুরু থেকেই তামিমের মতো আগ্রাসী ছিলেন না সৌম্য। দেখেশুনে ধরে রেখে খেলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ সৌম্য। ৩৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন ব্রাথওয়েটের অফ-ব্রেকে। নিজের প্রথম ওভারেই সৌম্যকে স্লিপে দাঁড়ানো কর্নওয়ালের ক্যাচে পরিণত করেন ব্রাথওয়েট।

তবে তামিমের পরে সাজঘরে ফেরেন ওয়ানডাউনে নামা শান্ত। ৩১ বলে ১১ রান করে কর্নওয়েলের বলে শেন মোসলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাজমুল হাসান শান্ত।

এরপর মুশফিককে ফেরান ওয়ারিকান। ৩০ বলে ১৪ রান করে ওয়ারিকানের বলে দা সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩২ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান নিয়ে ব্যাটে আছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিথুন। বাংলাদেশের জিততে হলে লাগবে আরো ১২১ রান।

এর আগে মধ্যাহ্নবিরতির পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ২৯ বলে ১৬ রান যোগ করে শেষের ৪ উইকেটের পতন ঘটে।

এর আগে প্রথম সেশনেও ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের কেউ দাঁড়াতে পারেননি।

প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে বাংলাদেশ রান দিয়েছে ৫৭। উইকেট তুলে নিয়েছে ৩টি। রাহি-তাইজুল অল্প রানে ফিরিয়েছেন মেয়ার্স ও ব্ল্যাকউডকে।

বাংলাদেশ দলের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারত জসুয়া-বোনার জুটি। প্রথম ইনিংসে এ জুটি ছিলেন দুর্দান্ত। যথাক্রমে ৯০ ও ৯২ রানের বীরোচিত ইনিংস খেলেন বোনার ও জসুয়া।

আজ এ দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে গেলে কিচ্ছু করার থাকত না বাংলাদেশের। কিন্তু সেই শঙ্কাও দূর করেন তাইজুল।

মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই জসুয়া-বোনার জুটিতে ভাঙন ধরান এ বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুলের ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন জসুয়া। মুহূর্তেই তা লুফে নেন সৌম্য সরকার। মধ্যাহ্নবিরতির যাওয়ার আগে করা ২০ রানের সঙ্গে একটি রানও যোগ করতে পারেননি জসুয়া।

এরপর ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি আলজারি জোসেফও। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই জোফেসকে সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। সিলি মিড-অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানে ফিরেন জোসেফ।

জোসেফের পর টিকলেন না বোনারও। নাঈমের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হলে বোনার। ১২০ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন তিনি।

একই ওভারে নাঈমের শিকার হয়ে ১ রান করে ফিরলেন কর্নওয়াল। ১১৭ রানে অলআউট হয়ে গেল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ৪টি, নাঈম হাসান ৩টি, আবু জায়েদ রাহি ২টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।

সূত্র: যুগান্তর