মিলানের ইতিহাসে বুড়ো ইব্রারই রেকর্ড!

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৫২

সাহস ডেস্ক

বয়স এখন ৪০! তাতে কি যায় আসে, ফর্মটাতো আছে দুর্দান্ত। বলছি এসি মিলানের সুইডিশ তারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের কথা। বয়সের সময় বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, পিএসজি, আয়াক্সের মতো বড় বড় দলে খেলেছেন ইব্রা। তখন তার ফর্মটা ছিল শুরুর দিকে। শেষ বয়সে এসেও নিজের ফর্মে কোনো মরিচা পড়তে দেননি। বর্তমানে ৪০ বয়সে এসেও খেলছেন এসি মিলানে। সেখানেও দারুন ফর্মে আছেন তিনি। সম্ভবত দ্বিতীয় ধাপে ফর্ম নিয়ে খেলছেন তিনি। তার ফর্মেই বহুদিন পর ইতালিয়ান ফুটবলের চূড়ায় দেখা যাচ্ছে এসি মিলানকে।

সর্বশেষ গতকাল সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সিরি ‘আ’ লিগে ইব্রাহিমোভিচের জোড়া গোলেই কালিয়ারিকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটা এককভাবে মজবুত করে নিয়েছে স্তেফানো পিওলির শিষ্যরা।

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসকে ২-০ গোলে হারিয়ে আন্তোনিও কন্তের ইন্টার মিলান শীর্ষস্থানে ভাগ বসিয়েছিল। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইব্রার সেটা পছন্দ হয়নি।

এদিন পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে মিলান। শুরুতেই এগিয়ে যায় তারা। ডিবক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে স্পট কিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ইব্রাহিমোভিচ। পরে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এই সুইডিশ তারকা।

চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ১২ গোল হয়ে গেছে ইব্রাহিমোভিচের। গোলের দিক থেকে এখন ইন্টার জুটি লাওতারো মার্তিনেজ ও রোমেলু লুকাকুর পাশে আছেন মিলান স্ট্রাইকার। এই তিনজনের চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে এদের মধ্যেও ইব্রা ব্যতিক্রম। কারণ, চোট ও করোনায় লিগের শুরুতেই অনেক ম্যাচ খেলা হয়নি তার। ফলে তার ১২ গোল এসেছে মাত্র ৮ ম্যাচে। তাতেই করেছেন নতুন এক রেকর্ড। মিলানের হয়ে গত ২৮ বছরে প্রথম ৮ ম্যাচে এত গোল করেননি কেউ। সর্বশেষ ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে মার্কো ফন বাস্তেনের রেকর্ডটি ছিল ৮ ম্যাচে ৮ গোল।

গত মৌসুমের মাঝপথে ইব্রার মিলানে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির পারফরম্যান্সে উন্নতি হচ্ছে। এর মাঝেই আরেকটি রেকর্ড হলো তার। দুই মৌসুম মিলিয়ে টানা ৯ লিগ ম্যাচে গোল করলেন এই স্ট্রাইকার। দুই দশকের ক্যারিয়ারে এর আগে যেটা কখনো করতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ সকারে যেখানে ইউরোপের সব খেলোয়াড় গিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেন, সেখান থেকে ফিরেই এসব কীর্তি করছেন।

মিলানে ফেরার সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল, সেটা প্রমাণ করতে পেরেছেন বলেই খুশি এই স্ট্রাইকার, ‘আমি খুব খুশি। মিলানে এই ফেরাটা আমাকে বদলে দিয়েছে এবং আমি খুব খুশি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত