আসেনসিওর ফর্মে অ্যাতলেটিকোকে হটিয়ে শীর্ষে রিয়াল

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২১, ১৪:৩৭

সাহস ডেস্ক

বিভিন্ন চোটে পড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিলেন প্রতিভাবান স্প্যানিশ উইঙ্গার মার্কো আসেনসিও। কিছুদিন আগেই দীর্ঘ চোটের সঙ্গে লড়াই করে ফিরেছিলেন। ফিরলেও, আগের সেই বিধ্বংসী আসেনসিওকে দেখা যাচ্ছিল না। তবে সে আসেনসিওর দেখা মিলল গতকাল রাতে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে। দুর্দান্ত খেলেছেন এই ম্যাচটি। করেছেন একটি গোল, লুকাস ভাসকেজকে দিয়ে করিয়েছেন আরেকটি গোল। তাই এই দুর্দান্ত ফর্মে ফেরার রাতে সেল্টা ভিগোকে হারিয়ে নতুন বছরটা দারুন শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

শনিবার (২ জানুয়ারি) ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেল্টা ভিগোকে ২-০ গোলে হারিয়ে নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে হটিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা।

এদিন শুরুতেই ভাসকেজের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। ম্যাচের ৬ মিনিটে সেল্টার আক্রমণ প্রতিহত করে দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে যান অ্যাসেনসিও, উইং থেকে ক্রস বাড়িয়ে দেন বক্সে অপেক্ষায় থাকা ভাসকেজের উদ্দেশ্যে। সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেন স্প্যানিশ উঙ্গার লুকস ভাসকেজ।

পরে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ফের এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল। কিন্তু সহজ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। মিনিট দুয়েক পর হলুদ কার্ড দেখেন মার্কো অ্যাসেনসিও। পরে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে এই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।

বিরতি থেকে ফিরে এসেও দুর্দান্ত হয়ে ওঠে জিদানের প্রিয় শিষ্য আসেনসিও। তার ফলও পেয়ে যায় দ্রুতই। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে মাঝমাঠে সেল্টার মিডফিল্ডার মুরিলোর ভুলে বল পেয়ে যান অ্যাসেনসিও। দ্রুততার সঙ্গে সেটি এগিয়ে দেন ভাসকেজের উদ্দেশ্যে। পরে ডি-বক্সে ফিরতি পাস পেয়ে দারুন এক গোল করে দলকে জয় নিশ্চিত করেন মার্কো আসেনসিও।

২৪ বছর বয়সী প্রিয় শিষ্য আসেনসিওর ফর্মে ফেরা নিয়ে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে খোলাখুলিভাবে প্রশংসা করে জিদান বলেছেন, ‘আমি আসেনসিও'র জন্য অনেক খুশি। ওর একটা অনেক বড় চোট সমস্যা ছিল। সেটা কাটিয়ে এখন ও প্রতি মুহূর্তে উন্নতি করছে। ওর জন্য অনেক ভালো লাগছে আমার, সবার জন্যই ভালো লাগছে।’

গত মৌসুমের শুরুতে হাঁটুর চোটে পড়ে প্রায় বছরখানেক মাঠের বাইরে ছিলেন আসেনসিও। তবুও আসেনসিওকে নিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ ছিল না। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ফর্মে ফিরে সেসব সমালোচকদের মুখটা বন্ধ করে আসেনসিও বলেন, ‘মানুষ বোঝে না, চোট থেকে ফিরে আসার প্রক্রিয়াটা কত কষ্টকর। আমি সঠিক প্রক্রিয়াতেই আছি এবং নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছি।’

এই জয়ে নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে রিয়াল শীর্ষে উঠলে একটা সমীকরণ থেকে যায়। রিয়াল খেলেছে ১৭ ম্যাচ আর অ্যাতলেটিকো খেলেছে ১৪ ম্যাচ।

এদিকে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও ভিয়ারিয়াল সমান ১৭ ম্যাচ খেলে সমান ২৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়তে সোসিয়েদাদ ও চতুর্থতে ভিয়ারিয়াল অবস্থান করছে। বার্সেলোনা অবস্থান সেভিয়ার পর ৬ নাম্বারে। সমান ১৫ ম্যাচ খেলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে সেভিয়া ও ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ছয়তে বার্সেলোনা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত