অবশেষে এমবাপ্পের ১০০তম গোল

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৬:৪৮

অনলাইন ডেস্ক

সেঞ্চুরি করতে আর মাত্র একটি গোল দরকার ছিল এমবাপ্পের। গতরাতে সেই গোলটি দিয়েই সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এমবাপ্পে। লিগ ওয়ানের ম্যাচে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে পিএসজির হয়ে ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করে ফেললেন ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড কিলিয়ান।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) লা মসনস স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মঁপেলিয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।

এদিন প্রথমে কলিন দগবার গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গোলটি করেন দগবা। এরপর বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচের ৪১ মিনিটে স্টেফি মাভিদিদির গোলে সমতায় ফেরে মঁপেলিয়ের। এরপর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে মোইস কিনের গোলে ফের এগিয়ে যায় পিএসজি। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে ফের পিএসজির হয়ে তৃতীয় গোল এবং নিজের শততম গোলটি করেন এমবাপ্পে। অবশেষে এই ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে থমাস টুখেলের দল।

পিএসজির হয়ে গত ২০ নভেম্বর তার সাবেক দল মোনাকোর কাছে ৩-২ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে ৯৯তম গোলটি করেছিলেন এমবাপ্পে। এরপর থেকেই শুরু হয় আরেকটি গোলের অপেক্ষা। মাঝে কেটে গেছে ১৪ দিন। এই সময়ের মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছেন জার্মানির দল লাইপজিগ ও ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। লিগ ওয়ানেও বোর্দোর বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেন।

কিন্তু গোল পাচ্ছিলেন না তিনি! অবশেষে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে গোল করে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। দলের ৩-১ গোলের জয়ে শেষ গোলটি করে মাইলফলকে পৌঁছেছেন এমবাপ্পে। পুরো ম্যাচে এই একবারই গোলে শট নিয়েছিলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। সেই একটি শট থেকে যোগ করা সময়ে পেয়ে গেছেন পিএসজির জার্সি গায়ে কাঙ্ক্ষিত শততম গোলটি।

ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমি আমার পরিসংখ্যান জানি। এটা ঠিক যে কয়েক ম্যাচ ধরেই আমি শততম গোলটি করতে চেয়েছি। (আমার পক্ষে একটি গোল করা) কঠিন কিছু ছিল না বা (এই তিন ম্যাচ) আমার জন্য কঠিন যায়নি। তবে এই গোল পাওয়ার পর নিজেকে মুক্ত লাগছে।’

পিএসজির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ডমিনিক রচেতুর সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছেন এমবাপ্পে। তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন পলেতা (১০৯), জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (১৫৬) ও এদিনসন কাভানি (২০০)। বড় বড় এই খেলোয়াড়ের সঙ্গে এ তালিকায় এত ওপরের দিকে থাকতে পেরে খুশি এমবাপ্পে, ‘আমি যখন এখানে আসি, ভাবতেই পারিনি এত দ্রুত ১০০ গোল করতে পারব। এটা আমার অনেক দিনের লক্ষ্য ছিল।’

এই ফরাসি স্ট্রাইকার বলেন, ‘আমার সব সতীর্থ আর ক্লাবের সবাইকে ধন্যবাদ যে তারা আমাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। ভালো বা মন্দ—সব সময়ই তারা আমার পাশে ছিল। এখানে যারা কাজ করে যাচ্ছে, সবাইকে ধন্যবাদ।’

দল ছাড়ার গুঞ্জন নিয়ে পিএসজির সমর্থকদের আশ্বস্ত করে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আমি এখানে আরও গোল করতে পারি, আরও বেশি গোলে সহায়তা করতে পারি। সময়ের সঙ্গে আমার গোল আর গোলে সহায়তা বাড়বে। আমি দিনে দিনে আরও পরিণত হচ্ছি।’

কাভানিকে ছাড়িয়ে পিএসজির ইতিহাসে সর্বকালের সেরা গোলদাতা হতে চান কি না জানতে চাইলে ফরাসি ফরোয়ার্ড বলেন, ‘পিএসজির হয়ে ২০০ গোল করতে পারব কি না? কে জানে, হয়তো হবে। আগে তো আমি কখনো ভাবিইনি যে ১০০ গোল করতে পারব। আপনাকে আসলে শুধু পরের ম্যাচটা নিয়েই ভাবতে হবে।’

এমবাপ্পে আরও বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি সাড়ে তিন বছর হয়েছে। সবার সমর্থন পেয়ে ভালো লাগছে।’

পিএসজির হয়ে ২১ বছর বয়সী এমবাপ্পের ১০০ গোলের ৭৪টি এসেছে লিগ ওয়ানে। চ্যাম্পিয়নস লিগে করেছেন ১৩ গোল। বাকি ১৩টি গোল ফ্রান্সের ঘরোয়া কাপের ম্যাচ আর লিগ কাপ, সুপার কাপে।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে পিএসজি। ১১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে আছে মার্শেইলি। ১২ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়তে আছে লিঁলে। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে লিওঁ। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে টেবিলের ৫ম স্থানে আছে মোনাকো। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে আছে মঁপেলিয়ের।