অভিষেক ম্যাচেই সুয়ারেজের বাজিমাত, অ্যাতলেটিকোর বড় জয়

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:০২

সাহস ডেস্ক

অভিষেক ম্যাচেই সুয়ারেজ করলেন বাজিমাত। বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘ ৬ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে অ্যাতলেটিকোতে যোগ দিয়েই বার্সাকে বুড়ো আঙুল দেখালেন সুয়ারেজ। অ্যাতলেটিকোর হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২০ মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তাতেই অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ২ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করে অভিষেকের যত একবিংশ শতাব্দীর রেকর্ড আছে, সব ভেঙে দিয়েছেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ।

স্প্যানিশ লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোলে গ্রানাডাকে বিদ্ধস্ত করে নতুন মৌসুম জয় দিয়ে শুরু করল অ্যাতেলেটিকো মাদ্রিদ।

রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্টাডিও ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে গ্রানাডাকে ৬-১ গোলে বিদ্ধস্ত করেছে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল উৎসবের শুরুটা করেন দিয়েগো কস্তা। ম্যাচের ৯ম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন কস্তা। প্রথমার্ধে এই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় অ্যাতলেটিকো।

বিরতি থেকে ফিরে এসেই ফের এগিয়ে যায় সিমিওনের দল। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আনহেল কোরেয়রা। ৬৫ মিনিটে হোয়াও ফেলিক্সের গোল ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০ গোলে।

এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে কস্তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন বার্সা থেকে আশা লুইস সুয়ারেস। এর দুই মিনিট পরেই ৭২ মিনিটে লরেন্তেকে দিয়ে গোল করান ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। জার্সি পাল্টালেও যে তার ধার কমেনি তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন ৮৫তম মিনিটে। লরেন্তের পাস থেকে অ্যাতলেটিকোর জার্সিতে প্রথম গোলটি করেন তিনি।

তবে এর দুই মিনিট পর একটি গোল শোধ করে দিয়েগো মার্তিনেজের দল গ্রানাডা। এরপর আবারও স্পটলাইট কেড়ে নেন সুয়ারেস। যোগ করা তৃতীয় মিনিটে গ্রানাডার জালে শেষ বলটি জড়িয়ে দেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। এতে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে নতুন মৌসুমের প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।

এই জয়ে প্রথম ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৯ম স্থানে আছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়তে আছে গ্রানাডা। গ্রানাডার সমান ম্যাচে সমান জয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে রিয়াল বেটিস।

বার্সেলোনা ছেড়ে ভালোই করেছেন কারণ অনেক দিন পর মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছেন বলে ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বাসিত সুয়ারেজ জানান, ‘অভিষেক হওয়ায় খুব খুশি, তিন পয়েন্ট পাওয়ায় আরও খুশি। যখন অভিষেকে গোল করে দলকে সাহায্য করেন, আপনি সব সময় খুশি থাকবেন। আমার মুক্ত বাতাস খুব দরকার ছিল, একটা পরিবর্তন দরকার ছিল এবং সেটা মেনে নেওয়াও দরকার ছিল।’

পরিবর্তনটা যে দরকার ছিল সেটা মাঠেই বোঝা গেছে। দুটি গোল করেছেন, একটা গোলে সহায়তা করেছেন। একটা পেনাল্টিও আদায় করেছিলেন, সেটা অবশ্য ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বাদ দিয়েছেন। কিন্তু তাতে সুয়ারেজের কোনো ক্ষতি হয়নি। এই শতাব্দীর প্রথম আতলেতিকো খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকেই গোল ও গোলে সহায়তা করেছেন। ২০০০ সালের পর প্রথম আতলেতিকো খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে দুই গোলও করেছেন সুয়ারেজ।

সুয়ারেজকে দলে পেয়ে খুশি কোচ দিয়েগো সিমিওনেও। সুয়ারেজের মতো একজনকে পাওয়া মানে মৌসুমে অন্তত ২০ গোলের নিশ্চয়তা। তবে সিমিওনেকে মুগ্ধ করেছে সুয়ারেজের দলের জন্য খেলার মনোভাবটা। সিমিওনে বলেন, ‘ওর দুই গোল আমার জন্য বিশেষ কিছু মনে হয়নি, কিন্তু তার গোলে সহায়তা, তার দৌড় আর মাঠে জায়গা বের করে নেওয়া—এসব মনে ধরেছে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত