আজারেঙ্কাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের রানী হলেন ওসাকা

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৩৬

সাহস ডেস্ক

আর একবার চ্যাম্পিয়ন হলেই মেয়েদের ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম টেনিস জয়ের রেকর্ডে ‘মার্গারেট কোর্ট’র পাশে নাম লেখাতেন সেরেনা উইলিয়াম। কিন্তু সেমিফাইনালে দারুন ছন্দে থাকা বেলারুশ তারকা ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার কাছে হেরে স্বপ্ন ভাঙা কান্না নিয়ে কোর্ট ছাড়েন কৃষ্ণকলি। তবে সাত বছর ধরে একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার আক্ষেপ নিয়ে ফাইনালে ওঠে আজারেঙ্কা। কিন্তু শেষমেশ তারুণ্যের জয়গানই গাইল ইউএস ওপেন। ছন্দে থাকা আজারেঙ্কাকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শিরোপা জিতলেন জাপানী কন্যা নওমি ওসাকা।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আজারেঙ্কাকে ১-৬, ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন জাপানী কন্যা।

অথচ এদিন আজারেঙ্কার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ৬-১ গেমে জিতে নিয়েছিলেন প্রথম সেট। দ্বিতীয় সেটেও এগিয়ে ছিলেন ৩-০ গেমে। মনে হচ্ছিল, ওসাকার পরাজয় তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ওসাকা নিজেও বিরক্ত হচ্ছিলেন নিজের খেলা দেখে। একবার নিজের র‍্যাকেটের ওপর বৃথা ক্ষোভ দেখালেন। কোর্টে ছুড়েও ফেললেন। কিন্তু মেজাজ খারাপ করলে তো আর জেতা হবে না! ওসাকা নিজেও শুধু শিরোপাটা জিততে তো আসেননি, এসেছেন বিশ্বব্যাপী চলমান কৃষ্ণাঙ্গদের 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র হয়ে। প্রতি ম্যাচে একেকজনের নাম সংবলিত মাস্ক পরে খেলতে নেমেছেন এই টুর্নামেন্টে, যারা বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অত্যাচার কিংবা বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন। জানিয়েছেন মৌন প্রতিবাদ। ফাইনালে এসেছিলেন 'তামির রাইস' লেখা মাস্ক পরে, ২০১৪ সালে ক্লিভল্যান্ডে ১২ বছর বয়সের যে শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছিল দেশটির পুলিশ।

ওসাকা হেরে যাওয়া মানে যে তাদেরও হেরে যাওয়া! ওসাকা হারেননি। দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বাকি ম্যাচে। খেলার ধরনে হালকা পরিবর্তন আনলেন। আজারেঙ্কার ফোরহ্যান্ডগুলোর জবাব দিতে থাকলেন লাইনের ধারে গিয়ে, ব্যাকহ্যান্ডের মাধ্যমে। শটগুলো মারতে থাকলেন নিখুঁতভাবে, প্রচণ্ড জোরে। আড়াআড়িভাবে না মেরে সোজা মারা শুরু করলেন। তাতেই আজারেঙ্কার গতি আস্তে আস্তে কমে গেল, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে এল ওসাকার হাতে। শেষমেশ শক্তির খেলাতেই পরাজয় মানলেন আজারেঙ্কা।

ম্যাচ শেষে ওসাকা জানালে, ‘আমি যখন অতিরিক্ত জেতার ব্যাপারে চিন্তা করি, তখনই সমস্যা হয়। আমি আর আমি থাকি না। জেতার জন্য শান্ত থাকা খুব জরুরি। কিছুক্ষণ খেলার পর মনে হচ্ছিল, জেতা হবে না। পরে ভাবলাম, আমি একটা ফাইনাল খেলতে এসেছি। অনেক মানুষ ফাইনাল খেলতে চায়। এমন অবস্থায় এক ঘণ্টায় ৬-৩, ৬-০ সেটে হারতে পারি না আমি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত