যোগ করা সময়ে পেনাল্টি গোলে ইউরোপার সেমিতে ম্যানইউ

ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্রুনো ফার্নান্দেজের পেনাল্টি গোলে ডেনমার্কের ক্লাব এফসি কোপেনহেগেনকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে ইন ইস্প্রিত অ্যারেনায় কোপেনহেগেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ওলে গানার সোলসারের শিষ্যরা।

এদিন ম্যাচের অধিকাংশ সময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হতাশ করেছে কোপেনহেগেন। বিশেষ করে দলটির গোলরক্ষক কার্ল-হুয়ান জনসন দুর্দান্ত সেভ করেছেন।

পুরো ৯০ মিনিট ধরে একের পর এক সেভ দিয়ে খেলাটাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কার্ল ইয়োহান জনসন। ওই অতিরিক্ত সময়েই ঘটেছে বিপত্তি। ৯৫ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে ইউনাইটেডের ফরাসি স্ট্রাইকার অ্যান্থনি মার্সিয়ালকে অন্যায়ভাবে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন সেন্টারব্যাক আন্দ্রেয়া বিয়েলান্ড। সেটি থেকে পাওয়া পেনাল্টিতে গোল করতে একবারেই সমস্যা হয়নি দলের পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেসের। গত শীতকালীন দলবদলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পা রাখার পর ম্যানইউর জার্সিতে এই নিয়ে ১১ গোল করলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

এই এক কার্ল ইয়োহান জনসন বাধা হয়ে না দাঁড়ালে হয়তো কাল হেসেখেলেই জিততে পারত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটা শক্তিশালী হেড ক্রসবারে লেগেছে। অ্যান্থনি মার্সিয়ালও সুযোগ পেয়েছেন গোটা ম্যাচজুড়ে বেশ কয়েকটা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল বাতিল হয়েছে তরুণ ইংলিশ স্ট্রাইকার মেসন গ্রিনউডের।

কিন্তু ওই যে, এক কার্ল ইয়োহান জনসন ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। ইউরোপা লিগের এক ম্যাচে এর আগে কেউ কখনো ১৩টা সেভ করেননি। শেষমেশ অতিরিক্ত সময়ে বিয়েলান্ডের ওই এক ভুলের সাঙ্গ হয়েছে জনসনের সকল আয়োজন। অবশেষে এই ১-০ গোলের জয় নিয়ে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।