করোনাকে সমস্যা বলে মনেই করছে না বেলারুশ

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২০, ১৭:১৩

সাহস ডেস্ক

মহামারি করোনাভাইরাস থমকে দিয়েছে সারা বিশ্ব। স্থগিত হয়ে গেছে সব ধরণের ক্রিড়া প্রতিযোগিতা। তারই মধ্যে নতুন রূপ ধারণ করছে বেলারুশ। করোনা আতঙ্কে যেখানে চ্যাম্পিয়নস লিগ, স্প্যালিশ লিগ, সিরি আ’ লিগ, ইংলিশ লিগ, ফরাসি লিগ, জার্মান লিগসহ সব ধরণের লিগ বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে একমাত্র বেলারুশই তাদের লিগ চালু রেখেছে। তারা করোনাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।

আলেকজান্ডার লুকাশেনকো শাসিত এই দেশে এখনো সবকিছু স্বাভাবিক চলছে। ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত অবস্থাতেও ফুটবল লিগ শুরু করেছে দেশটি। ফলাফল, দুই দিনের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ বেড়েছে। তবু দেশটি করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে না।

এর আগে ইউরোপে একমাত্র তুরস্কের লিগ চালু ছিল। তারাও গত বৃহস্পতিবার লিগ থামিয়ে দিয়েছে। ওদিকে বেলারুশ সেদিন নতুন মৌসুম শুরু করেছে আনুষ্ঠানিকভাবে। স্টেডিয়াম ভর্তি লোকের সামনে ম্যাচ খেলেছে বাতে বরিসোভ।

এই বিষয়ে দ্য সানকে আর্সেনাল ও বার্সেলোনার সাবেক বেলারুশ তারকা আলেকজান্ডার হ্লেব বলেছেন, ‘আমাদের দেশকে ব্যাখ্যা করা কঠিন। সব লিগ বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু আমাদের এখানে একে সমস্যা বলেই মনে করছে না। কেন? আমি জানি না।’

আলেকজান্ডার কটাক্ষ বলেন, ‘সারা বিশ্ব এখন বেলারুশের লিগ দেখছে। সবার উচিত টিভি খুলে আমাদের ম্যাচ দেখা। যখন এনএহএল বন্ধ হয়ে গেল, অনেক আইস হকি খেলোয়াড় রাশিয়াতে গিয়েছে। এভাবে লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও আমাদের লিগে খেলতে পারে। কে জানে? ইউরোপে একমাত্র এখানেই ফুটবল হচ্ছে। তাহলে বেলারুশের লোকজন অন্তত খুশি থাকবে।’

ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রসঙ্গ টেনে আলেকজান্ডার বলেন, ‘করোনাভাইরাস চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা ভালো, কারণ আপনাকে চেষ্টা করতে হবে। উয়েফা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বেলারুশে কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না। এটা অবিশ্বাস্য। হয়তো এক বা দুই সপ্তাহ পরে আমরা থামব। হয়তো প্রেসিডেন্ট আরও দেখতে চাইছে এই ভাইরাস কী করতে পারে।’

বেলারুশের সাবেক এই ফুটবলার বলেন, ‘সবাই জানে ইতালি ও স্পেনে কী হয়েছে। ব্যাপারটা মোটেও সুখকর কিছু নয়। কিন্তু আমাদের দেশে কর্তৃপক্ষ মনে করছে খবরে যা বলছে অত গুরুতর কিছু নয়।’

আলেকজান্ডার আরও বলেন, ‘অনেক তরুণ ও শিক্ষার্থী ভাবছে ঘরে বাসায় বসে থাকব? যখন বাইরে যাচ্ছি সবাই তো রাস্তায় আছেই। তারা আসলে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আমি নিজের পরিবার ও স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝি। আমি যত কম সম্ভব মানুষের সংস্পর্শে যাচ্ছি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত