জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশের রেকর্ড জয়

প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২০, ২০:৫১

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওপেনার লিটন দাসের ঝরো সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

আজ ১ মার্চ (রবিবার) সিলেটে জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। এতে ১-০তে এগিয়ে থাকল বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। এখন পযর্ন্ত এটিই বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জয়। এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয় ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১৬৩ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। বাংলাদেশের দেওয়া ৩২১ রানের জবাবে লঙ্কানরা গুটিয়ে গিয়েছিল ১৫৭ রানে। এবার মাশরাফিদের দেওয়া ৩২২ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে ১৫২ রানে।

এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

দলের হয়ে ওপেনিংটা ভালোই শুরু করেছিল তামিম-লিটন। তবে বেশিদুর এগোতে পারেননি তামিম। দলিয় যখন ৬০ রান তখনই মাদভেরের বলে এলবির শিকার হন তামিম ইকবাল। তবে ফিরে যাওয়ার আগে ৪৩ বলে ২ চারে ২৪ রান করেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে তামিমের দরকার ছিল আর ১০৮ রান। এই ম্যাচে অন্তত হলো না সেই রেকর্ড।

এরপর লিটনের সঙ্গী হন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে নিয়ে ৮০ রানের একটি পার্টনারশীপ গড়েন লিটন। যখন দলিয় ১৪০ রান তখনই মুতোমবুজজির বলে শিকার হন শান্ত। ৩৮ বলে ১ চার ২ ছক্কায় ২৯ রান করে এলবি হয়ে ফেরেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।

এরপর নামেন উইকেটরক্ষ মুশফিকুর রহিম। তিনিও বেশিদুর এগোতে পারেননি। মাত্র ১৯ রান করে ত্রিপানোর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মি. ডিপেন্ডেবল। পরেই লিটন দাস ঠিকই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তবে ব্যক্তিগত ১২৬ রানে থাকতে পায়ের মাংশপেশিতে টান লাগায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠের বাইরেই চলে যেতে হয় ডানহাতি এই ওপেনারকে। এর আগে তিনি ফিফটি করেন ৪৫ বলে। আর সেঞ্চুরিটি করেন ৯৫ বলে। রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে ১০৫ বলে ১৩ চার ২ ছক্কায় ১২৬ রানের ইনিংসটি সাজান লিটন।

পরে ২৮ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ৩২ রান করে এমপোফুর বলে এলবি হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ফেরার আগে ওয়ানডেতে চার হাজার রান পূর্ণ করলেন মাহমুদউল্লাহ।

এরপর দুর্দান্ত একটি ফিফটি হাকান মোহাম্মদ মিঠুন। ফিফটি করেই এমপোফুর বলে এলবি হয়ে ফেরেন মিঠুন। ফেরার আগে ৪১ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন এই মেডেলঅডার ডানহাতি। পরে আরেকটি ঝরো ইনিংস খেলেন ইঞ্জুরি থেকে ফিরে আসা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এই পেসার অলরাউন্ডার।

জিম্বাবুয়ের হয়ে ক্রিস এমপোফু ২টি এবং কার্ল মুমবা, ওয়েসলি মাদভেরে, ডোনাল্ড ত্রিপানো ও টিনোটেন্ডা মুতোমবুজজি ১টি করে উইকেট নেন।

টাইগারদের দেওয়া ৩২২ রানের জবাবে খেলতে নেমে ৩৯.১ ওভারে ১৫২ রান করতে সব উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে ৪৪ বলে ৫ চারে ৩৫ রান করেন ওয়েসলি মাদভেরে এবং ৪৭ বলে ৩ চারে ২৪ রান করেন টিনোটেন্ডা মুতোমবুজজি। এছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি।

স্বাগতিকদের হয়ে সাইফুদ্দিন ৩টি, মাশরাফি ও মেহেদি ২টি করে এবং তাইজুল ও মোস্তাফিজ ১টি করে উইকেট নেন।

আজ ২টি উইকেট নিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ‘৭০০’ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন লিটন দাস।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত