আমি কি চোর, আমার লজ্জা লাগবে কেন: মাশরাফি
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:০৩
বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মর্তুজার পারফরম্যান্স নিয়ে কখনোই তেমন কথা উঠেনি। কিন্তু গেল বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট শিকারের বাজে পারফরম্যান্সই তাকে সমালোচনার শূলে চড়াচ্ছে।
তবে মাঠে এমন বাজে পারফরম্যান্স প্রায় সব ক্রিকেটারের জীবনেই আসতে পারে। এতে লজ্জায় কুঁকড়ে যেতে হবে বা আত্মসম্মানবোধ উড়ে যাবে-এমন বালখিল্য চিন্তার সঙ্গে মোটেও একমত নন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা দেড়টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাশরাফী।
দীর্ঘ সাত মাস পর আগামীকাল ১ মার্চ (রবিবার) মাঠে নামবেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফী।
এক সাংবাদিক অবসর ইস্যু ও আন্তর্জাতিক সিরিজে শেষ অধিনায়কত্ব নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘খেলার সঙ্গে আত্মসম্মান আমি মেলাতে পারি না। আমি কি চোর? আমার লজ্জা লাগবে কেন? আত্মসম্মানে লাগবে কেন? আমি কি মাঠে চুরি করি? আমি তো দেশের জন্য খেলি। খেলতে পারি না, আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। আমার লজ্জা কিসের? কতজন চুরি করছে। তাদের তো কেউ এ প্রশ্ন করে না।’
এরপর রাগান্বিত কণ্ঠে মাশরাফি বলেন, ‘এত প্রশ্ন থাকতে বার বার অবসরের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন কেন? অবসরের বিষয়ে কিছু বললে বোর্ডকে বলব। একই প্রসঙ্গে বারবার আসা বিরক্তিকর।’
মাশরাফি বলেন, ‘আমি উইকেট না পেতে পারি, এ জন্য আমার সমালোচনা আপনারা করবেন, সমর্থকরা করবে। লজ্জা পেতে হবে কেন? আমি কি বাংলাদেশের হয়ে খেলছি, নাকি অন্য কোনো দেশের হয়ে খেলছি যে আমাকে লজ্জা পেতে হবে? সুতরাং এই বিষয়টির সঙ্গে আমি মোটেও একমত না।’
এর আগে বিসিবি সভাপতির বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, ‘সবারই একটা বয়স আছে। যখন মুশফিক, তামিমরাও এই বয়সে যাবে। তখন নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে পারফরম্যান্স মেলাবেন।’
অধিনায়কত্ব শেষ হওয়া বা লম্বা করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি যেটা বলেছেন সেটা আপনাদের জন্য যথেষ্ট। আমার সঙ্গে কি কথা হয়েছে, সেটা বলার প্রয়োজন মনে করছি না।’
ফর্মে না থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো খেলোয়াড় গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না, সে মাঠে নেমে ভালো পারফর্ম করতে পারবে। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার বিষয়টি মাথায় নিচ্ছি না। ওটার নিজের মধ্যেই রাখেন।’