তিন ফিফটিতে সিরিজ জয় ইংল্যান্ডের

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তিন ব্যাটসম্যানের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল সফরকারী ইংল্যান্ড।

১৬ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সুপার স্পোর্টস পার্ক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেট এবং ৫ বল বাকি থাকতেই হারিয়েছে ইংলিশরা। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল ইয়ন মরগানের দল।

এদিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করে স্বাগদিতকরা।

দলের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তাণ্ডব চালান দুই দ.আফ্রিকান ওপেনার টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি কক। মাত্র ৭.৪ ওভারেই ৮৪ রান তোলেন তারা। আদিল রশিদের বলে বোল্ড হওয়া বাভুমা ২৪ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৯ করেন। আর অধিনায়ক ডি কক ২৪ বলে ৩৫ করে বিদায় নেন।

দলীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান আসে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। টম কারানের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৩ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার মার মারেন। আর ২০ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।

ইংলিশদের হয়ে কারান ও স্টোকস ২টি করে এবং মার্ক উড ও আদিল রশিদ একটি করে উইকেট নেন।

প্রোটিয়াদের দেওয়া ২২৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জস বাটলার, জনি বেয়ারস্টো ও অধিনায়ক ইয়ন মরগানের ঝড়ো ফিফটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে এবং ৫ বল হাতে রেখে ২২৬ রান করে অনায়াসেই জয় তুলে নেয় সফরকারী ইংলিশরা।

দলের হয়ে শুরুতে অবশ্য ওপেনার জেসন রয়কে হারায় ইংল্যান্ড। লুঙ্গি এনগিডির বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে তাবরাইজ শামসিকে ক্যাচ দেন রয়। তবে ৯১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেন বাটলার ও বেয়ারস্টো। বাটলার ২৯ বলে ৯টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৭ করে ড্যান প্রিটোরিয়াসের বলে ফেরেন। আর আন্দিলে ফেলুকায়োর বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৪ করেন বেয়ারস্টো। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা।

মাঝে ডেভিড মালান দ্রুত বিদায় নিলেও, হাল ধরেন মরগান। আর দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই জয় তুলে নেন তিনি। ২২ বলে ৭টি বিশাল ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন এই দলনেতা। এছাড়া ১২ বলে ২২ রান করে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন বেন স্টোকস।

প্রোটিয়াদের হয়ে এনগিডি ২টি এবং ফেলুকায়ো, শামসি ও প্রিটোরিয়াস একটি করে উইকেট নেন।

ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা হয়েছে ইয়ন মরগান।