লিটন-আফিফদের বোনাস দিলেই খুশি হব: রাসেল

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:০৯

সাহস ডেস্ক

ক্যারিবীয় তারকা রাজশাহী রয়েলসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল বলেছেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে প্রাইজমানি এমন একটি বিষয় যা খেলোয়াড়েরা পেতে চায়, সঙ্গে বোনাসও।’

১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিপিএলের ফাইনাল শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন রাজশাহীর অধিনায়ক রাসেল।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে, টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতাই সবকিছু। এটা হয়তো এমন শোনাবে যে, আমি টাকা পছন্দ করি না। তবে আমি চাই যে যেসব স্থানীয়রা (ক্রিকেটার) আমাদের সাহায্য করেছে, তাদের যেন বোনাস দেওয়া হয়। তাদের যত্ন নেওয়া হলেই আমরা খুশি হব।’

প্রতিবার বিপিএলে শিরোপাজয়ী দলের প্রাইজমানি থাকে। গতবারও চ্যাম্পিয়ন দল ২ কোটি টাকা প্রাইজমানি পেয়েছে। এবার সেটি ছিল না। আয়োজকদের যুক্তি ছিল এবার টুর্নামেন্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক না হওয়ায় প্রাইজমানি রাখা হয়নি। অথচ প্রতিটি চ্যাম্পিয়ন দল বা দুই ফাইনালিস্টের জন্য প্রাইজমানি বরাদ্দ থাকা অলিখিত নিয়ম। এবার তা মানা হয়নি। চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেলকে ঠিক এ কারণেই কি সংবাদ সম্মেলনে তেমন একটা আমুদে মেজাজে দেখা গেল না?

ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারেরা এমনিতেই বেশ আমুদে। ক্রিস গেইল থেকে রাসেলরা ফুরফুরে মেজাজে থাকতে ভালোবাসেন। একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল জয়ের পর তাঁদের মতো ক্রিকেটারদের আরও চাঙা থাকার কথা। কিন্তু কাল সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক রাসেল ট্রফি নিয়ে এলেও মুখে ক্লান্তির ছাপ ছিল। হয়তো ফাইনাল ম্যাচের চাপের ফল। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে কোথায় যেন ভাটা পড়েছে সে ছাপও ছিল স্পষ্ট। তার কারণ খুঁজতে গিয়েই এবার বিপিএলে শিরোপাজয়ী দলের প্রাইজমানি না থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মাতিয়ে বেড়ানো রাসেলের কাছে।

প্রাইজমানি না থাকলেও বিসিবি এবার ট্রফি তৈরিতে খরচ করেছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। বিসিবি সূত্রেই এর আগে জানা গেছে, ট্রফি তৈরি, আনা, ট্যাক্সসহ এ খরচ পড়েছে। আর্থিক দিক দিয়ে ট্রফিটা দামি তো অবশ্যই। তবে দুই ফাইনালিস্টের জন্য না হলেও অন্তত শিরোপাজয়ী দলকে প্রাইজমানি দেওয়া যেতেই পারত। তাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এবারের বিশেষ বিপিএলের সৌন্দর্য আরও বাড়ত।

বিপিএলের প্রথম বিদেশি হিসেবেই নয় শুধু, অধিনায়ক হিসেবেও কোনো টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপা এটি রাসেলের। তিনি বলেন, ‘এই শিরোপাটি আমার জন্য একটু বেশি স্পেশাল। কারণ অধিনায়ক হিসেবে এটিই আমার প্রথম শিরোপা। চাপকে জয় করে খেলা, বোলিংয়ের সময় ঠিকঠাক দল চালানো, একইসঙ্গে নিজেকেও ঠিকঠাক ব্যবহার করা- অন্যরকম অনুভূতি।’

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত