অস্ট্রেলিয়ার দশক সেরা ওয়ানডেতেও সাকিব

প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:১৭

সাহস ডেস্ক

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) দশক সেরা ওয়ানডে একাদশে জায়গা পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর (রবিবার) উইজডেনের দশক সেরা একাদশেও স্থান পেয়েছিলেন সাকিব।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে একাদশে সাকিব ছাড়াও আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মা, হাশিম আমলা, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সের তারকা ক্রিকেটার। দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন ভারতকে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতানো ধোনি। দলের উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও তার কাঁধেই রাখা হয়েছে।

এর আগে উইজডেন ক্রিকেট সাময়িকী গত এক দশকের (১০ বছর) ওয়ানডে সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে। ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত এই উইজডেনের প্রকাশিত একাদশটিতে নাম আছে সাকিব আল হাসানের। উইজডেনের সব ক্রিকেট লেখক ও প্রতিনিধিদের রায়ে এবং গত ১০ বছরের পারফরম্যান্সের বিচারে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে ওয়ানডের দশক সেরা ক্রিকেটারদের একাদশে রাখা হয়।

গত এক দশকের ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব। শীর্ষ পর্যায়ের প্রকৃত অলরাউন্ডার বলা হয় তাকে। ব্যাটে তেমন ঝড় তুলতে না পারলেও ধারাবাহিকতার অনন্য উদাহরণ তিনি। আর বল হাতেও তার কার্যকারিতা যেকোনো পিচেই সমান। এমন অসাধারণ অলরাউন্ডার এ যুগে দ্বিতীয়টি নেই।

গত ১০ বছরে সাকিব খেলেছেন ১৩১ ওয়ানডে। যেখানে ব্যাট হাতে করেছেন ৪২৭৬ রান। ব্যাটিং গড় ৩৮.৮৭ আর ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৪ রান। বল হাতে গত এক দশকে সাকিব নিয়েছেন ১৭৭ উইকেট। যেখানে সাকিবের বোলিং গড় ৩০.১৫ আর বেস্ট বোলিং ফিগার ২৯ রানে ৫ উইকেট।

সবমিলিয়ে সাকিব ওয়ানডে খেলেছেন ২০৬টি। যেখানে ব্যাট হাতে করেছেন ৬৩২৩ রান, ব্যাটিং গড় ৩৭.৮৬। ৯টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি তার নামের পাশে আছে ৪৭টি ফিফটি। ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৪ রান। আর বল হাতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিয়েছেন ২৬০ উইকেট।চার উইকেট নিয়েছেন আটবার আর পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুইবার।

এ বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় বিজ্ঞাপন সাকিব কদিন আগে নিষিদ্ধ হয়েছেন। তার আগে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর সাকিব জায়গা করে নেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি ঘোষিত বিশ্বকাপের সেরা একাদশে। সেমি ফাইনালে না খেললেও সাকিবকে এই একাদশের বাইরে রাখা যায়নি। তাহলে হয়তো পূর্ণতাই পেতো না বিশ্বসেরা একাদশ। ব্যাট হাতে আট ইনিংসের সাতটিতেই ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলেছেন।

দ্বাদশ বিশ্বকাপ সাকিবকে দিয়েছে দুহাত ভরে। ৮৬.৫৭ গড়ে ৮ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬০৬ রান করেছেন সাকিব, বাঁহাতি স্পিনে নিয়েছেন ১১টি উইকেট। এক আসরে ১০ উইকেট আর ৬০০ প্লাস রান দেখেনি অন্য কোনো বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে সাকিবের নামের পাশে যোগ হয়েছে দুটি সেঞ্চুরি আর পাঁচটি ফিফটির ইনিংস। বিশ্বকাপের এক আসরে সাতটি ফিফটি প্লাস ইনিংস খেলে নাম লিখিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকারের গড়া কীর্তিতে। টানা চতুর্থ বিশ্বকাপের শেষ তিনটিতেই অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থেকে খেলার অনন্য এক বিরল রেকর্ডও গড়েছেন সাকিব।

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব এরই মধ্যে ঢুকে গেছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করা কিংবদন্তিদের তালিকায়। এই তালিকায় শীর্ষে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান, ওয়ানডের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি আর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক শচীন টেন্ডুলকার। আর গ্রেটদের কাতারে ঢুকে সাকিব উঠে গেছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ৯ নম্বরে। 

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে একাদশ: মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক), রোহিত শর্মা, হাশিম আমলা, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, সাকিব আল হাসান, জস বাটলার, রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা, মিচেল স্টার্ক, ট্রেন্ট বোল্ট।

ওয়ানডে দলে জায়গা পেলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দশক সেরা টেস্ট দলে জায়গা হয়নি সাকিবের। এই দলে বিরাট কোহলি ছাড়া নেই কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারের নামও। তবে টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কোহলিকেই। 

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দল: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), অ্যালিস্টার কুক, ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসন, স্টিভেন স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স (উইকেটরক্ষক), বেন স্টোকস, ডেল স্টেইন, স্টুয়ার্ট ব্রড, নাথান নায়ন এবং জেমস অ্যান্ডারসন।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত