খেলোয়াড়দের ধর্মঘট ষড়যন্ত্রের অংশ: পাপন

গতকাল সোমবার ১১ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেন জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটাররা। তাদের দাবি মেনে না নিলে কোনো ধরণের খেলা বা ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে তারা। এই আন্দোলনের মুখে আজ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

আজ আজ ২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলোয়াড়দের ১১ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পাপন।

বিসিবি প্রধান বলেন, ‘বিসিবিকে সমস্যা সমাধানের সুযোগ না দিয়ে এভাবে ধর্মঘট করাকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করি আমি।’

তিনি বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘এটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ফসল এবং এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্রের অংশ।’

বিসিবি প্রধান বলেন, ‘তারা ক্রিকেটের উন্নয়নের কথা বললেও আমি তাদের ধর্মঘট থেকে উন্নয়নের কিছু পাই না। আমার মনে হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বিপদে ফেলার উদ্দেশ্যে কেউ পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করছে। কারা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে, সেটা বের করা জরুরি। বাইরে কে করছে, তা আমরা জানি। দলের ভেতরে কে এমন করছে, সেটা বের করব শিগগিরই। ভেতরে ভেতরে কে ষড়যন্ত্র করছে, তা এমনিতেই বের হয়ে যাবে।’

ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবির একটি একটি করে দাবির জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সভাপতি। প্রথম দাবির প্রসঙ্গেই বিতর্কিত এক মন্তব্য করে পাপন বলেন, ‘ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা কোয়াবকে কিছুদিন আগ পর্যন্তও আমরা স্বীকৃতি দিতাম না।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দাবি গুলোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সিসিডিএমকে আগেই বলে দিয়েছেন, এসব দাবি মেনে নিতে।’

বিপিএল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটাররা নিজেরাই সিদ্ধান্তহীন তারা কী চান। কিন্তু দেশি বা বিদেশি ক্রিকেটারকে টাকা বেশি বা কম দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। এ ব্যাপারে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের ব্যাপারে আমি বলবো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চুক্তি করানো বোর্ডের মধ্যে বিসিবি আছে।’

এতটুকু পর্যন্ত নিজের মতামত জানিয়েই সভাপতি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা টেনে এনে সভাপতি বলেন, ‘এসব দাবি জানালেই আমরা মেনে নিতাম। আর মেনে নেব বলেই তারা এ কথা বিসিবিকে জানায়নি। কারণ, দাবি মানলে আন্দোলন করা যাবে না। এভাবে মিডিয়ার সামনে দাবি জানিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং এতে ক্রিকেটাররা সফল।’

একদম ভারত সফরের আগে এভাবে আন্দোলন করাকে বিশেষ এক বার্তা হিসেবে দেখছেন সভাপতি। ‘আমাদের ক্রিকেটাররা বিদেশি ক্রিকেট কোচদের পছন্দ করেন না। আমার ধারণা দেশি কোচই তাঁদের পছন্দ। পারলে কোচ ছাড়াই ক্রিকেটাররা খেলতেন।’

ক্রিকেটারদের একাধিক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘চাইলে চারটিও করব। তবে জাতীয় দলের সবাইকে খেলতে হবে। আদায় করে টুর্নামেন্ট খেলবে না, এসব ভং চলবে না।’

পাপন আরো বলেন, ‘ক্রিকেটাররা এখনো বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে নি। বোর্ড যোগাযোগ করলে সাড়া দিচ্ছে না। এর মানে সমাধানের ইচ্ছা নেই। এসবই ষড়যন্ত্রের লক্ষণ।’