শুধু মেসিরই ডাবল হ্যাট্রিক

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৩৫

অনলাইন ডেস্ক

বার্সেলোনার হয়ে ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। ক্লাবটির হয়ে তাঁর ক্যারিয়ারের ১৫ বছর পূর্তি ছিল কাল। আর এমন দিনেই কিনা বার্সেলোনার মাটিতেই ‘হ্যাটট্রিক’ করে বসলেন মেসি!

এই হ্যাটট্রিক মাঠের না। তবে মাঠের কর্মকাণ্ডের ফল। গত মৌসুমে ইউরোপের লিগগুলো মিলিয়ে সেরা গোলদাতার পুরস্কার ‘ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’ কাল বার্সেলোনায় জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তুলে দেওয়া হয় মেসির হাতে। প্রথম ফুটবলার হিসেবে এ নিয়ে টানা তিনবার পুরস্কারটি জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা। সব মিলিয়ে জিতলেন মোট ছয়বার। মেসি ষষ্ঠ ট্রফিটা বুঝে নেওয়ার সময় মঞ্চের বাম দিকে শোভাবর্ধন করছিল তাঁর তাঁর জেতা আগের পাঁচটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।

লা লিগার গত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছিলেন মেসি। ৩২ গোল নিয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো পুরস্কারটি জয়ের আগে ২০০৯-১০, ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মৌসুমেও জিতেছেন মেসি। অর্থাৎ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ২ ‘ট্রফি’ ব্যবধানে এগিয়ে রইলেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এ ফুটবলার। রোনালদো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার। মজার বিষয় হলো, দুই রোনালদো এক করেও কিন্তু মেসিকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না!

দুই রোনালদো মানে হোসে মরিনহোর ‘আসল রোনালদো’ এবং বর্তমানের জুভেন্টাস তারকা। ব্রাজিলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে জিতেছিলেন ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু। ক্যারিয়ারে ওই একবারই পুরস্কারটি জিতেছিলেন রোনালদো। আর পর্তুগাল তারকা রোনালদো এ পুরস্কার জিতেছেন ২০০৭-০৮, ২০১০-১১, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ মৌসুমে। অর্থাৎ দুই রোনালদো মিলিয়েও ৬-৫ ট্রফি ব্যবধানে এগিয়ে রইলেন মেসি।

ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব সতীর্থদেরও ভাগ করে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। বলেছেন, ‘দল ও সতীর্থদের ছাড়া এ পুরস্কার জিততে পারতাম না।’ সপরিবারে অনুষ্ঠানে আসা মেসির সঙ্গে সঞ্চালকেরা মজা করতেও ছাড়েনি। এমন মজার জবাবেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের দু-একটি বিষয় জানিয়ে দেন মেসি। ঘুমোনোর জন্য পছন্দের বালিশ নিয়ে অনেক সময়ই উন্মাদের মতো আচরণ করেন তিনি, এ কথা জানিয়েছেন মেসি নিজেই। এ ছাড়াও একবার ঘুমিয়ে পড়লে নাকি তাঁকে তোলার সাধ্য নেই মালবাহী মোটর গাড়িরও!

ভালো খেলতে ভালো খাবার ও বিশ্রামের বিকল্প নেই বলে জানালেন মেসি। শাকসবজি খেতে তিনি পছন্দ করেন। যদিও মেসি জানালেন তাঁর ছেলে মাতেও শাকসবজি খেতে তেমন একটা পছন্দ করে না। তবে থিয়াগোর আবার শাকসবজি বেশ পছন্দের।

সূত্র: প্রথম আলো