সালাহ’র জোড়ো গোলেই লিভারপুলের জয়

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪৪

২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ’র জোড়া গোলে অস্ট্রিয়ান ক্লাব রেড বুল সালসবুর্গকে হারিয়ে দারুন জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিভারপুল।

২ অক্টোবর (বুধবার) অ্যানফিল্ডে রেড বুল সালসবুর্গকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ইউর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। এই জয়ের দিনে জোড়া গোল করেন মোহামেদ সালাহ, একটি করে গোল করেন সাদিও মানে ও অ্যান্ড্রু রবার্টসন।

অস্ট্রিয়ান ক্লাবের হয়ে গোল করেন হি-চান হওয়াং, তাকুমি মিনামিনো ও আর্লিং হলান্ড।

এদিন ম্যাচের ৯ম মিনিটে গোল দিয়ে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন সাদিও মানে। মাঝ মাঠে সাইড লাইনে বল পেয়ে তিনি কাট করে ভেতরে ঢুকে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে বল বাড়ান রবের্তো ফিরমিনোকে। ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে ফিরতি বল পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানে।

ম্যাচে ২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। জর্ডান হেন্ডারসনের কাছ থেকে বল পেয়ে নিচু ক্রসে রবার্টসনকে খুঁজে পান রাইট ব্যাক ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড। গোল দেন স্কটিশ লেফট ব্যাক রবার্টসন।

ম্যাচের ৩০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ একটুর জন্য মিস করেন। পরের মিনিটে মিনামিনোর বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান লিভারপুলের আদ্রিয়ান।

তবে ৩৬তম মিনিটে গোল পান সালাহ। মানের ক্রসে ফিরমিনোর হেড কোনোমতে ঠেকান সালসবুর্কের গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সালাহর বুলেট গতির শট তার হাত ছুঁয়ে জড়ায় জালে।

ম্যাচে যখন স্বাগতিকদের একাধিপত্য, ঠিক তখন ব্যবধান কমানো শুরু করে সালসবুর্গ। ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে লিভারপুলের বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার ফন ডাইককে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে প্রথম গোলের দেখা পান সালসবুর্গের স্ট্রাইকার হুয়াং হি-চ্যান। এরপর আর কোনো গোল না হলে ২-১ গোল নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে দু’দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই লিভারপুলের রক্ষণভাগে পরপর আক্রমণ করে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে অস্ট্রিয়ান ক্লাবটি। ৫৬তম মিনিটে মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনো আর ৬০তম মিনিটে আরেক স্ট্রাইকার এর্লিং ব্রাউটের গোলে খেলায় সমতা ফেরায় দলটি।

তবে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র অথবা হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া লিভারপুলকে উদ্ধার করেন মোহামেদ সালাহ। ম্যাচের ৬৯তম মনিটেও সালাহকে বল বানিয়ে দেন ফিরমিনো। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের আগ্রাসী ট্যাকল সামলে বক্সের কাছে বল উড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেনাল্টি এরিয়া থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে পোস্টের বাঁ প্রান্তে বল জড়িয়ে দেন সালাহ। আর সেই সঙ্গে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে পুরো অ্যানফিল্ড।

বাকি সময় আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ দেখা গেলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। শেষে ৪-৩ গোলের ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল।

এই নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা ১২ ম্যাচেই জয়ের দেখা পেল লিভারপুল। এর আগে ১৯৮৫ সালের এপ্রিল ও নভেম্বরে ঘরের মাঠে টানা ১৮ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছিল দলটি।