দেনার দায়ে সম্পত্তি হারাচ্ছেন রোনালদিনহো

প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ১৯:৩১

খেলোয়াড়ি জীবনে খ্যাতির সঙ্গে প্রচুর অর্থও কুড়িয়েছেন রোনালদিনহো। ফুটবল ছাড়ার পর খ্যাতিটুকু টিকে থাকলেও আর্থিক ব্যাপারগুলো সামলাতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। এতে চড়া মূল্যও দিতে হচ্ছে বিশ্বকাপজয়ী এ খেলোয়াড়কে। দেনার দায়ে এখন ডুবতে বসেছেন রোনালদিনহো।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুবারের ফিফা বর্ষসেরা এ ফুটবলারের দেনার পরিমাণ দুই মিলিয়ন ইউরোর বেশি। দিন দিন তা আরও বাড়ছে। জরিমানা ও দেনা পরিশোধ করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ তাঁর ৫৭টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। জব্দ করা হয়েছে তাঁর ব্রাজিলিয়ান ও স্প্যানিশ পাসপোর্টও। আপাতত ব্রাজিলের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই রোনালদিনহোর।

ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ফোলহা দে সাও পাওলো প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, জব্দকৃত ৫৭টি সম্পত্তির মধ্যে চারটি বাজেয়াপ্ত করেছে রিও গ্রান্দে আদালত। পরিবেশগত জরিমানা ২.২ মিলিয়ন ইউরো দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এ সম্পত্তিগুলো জব্দ করা হয়। পোর্তো অ্যালেগ্রেতে নিজের লেক হাউসে বেআইনিভাবে জেটি নির্মাণের জন্য মাশুল গুনছেন এই তারকা। কাউন্সিল কর বকেয়া থাকায় আরও ১.৮ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ, লা লিগা ও সিরি’আজয়ী সাবেক এ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের। এখানেই শেষ নয়; রোনালদিনহোর দেনা ও জরিমানার পরিমাণ ক্রমে বেড়েই চলছে। ব্রাজিলের ন্যাশনাল অ্যাটর্নি অফিস নতুন এক ইস্যুতে তাঁকে ১ লাখ ৮৪ হাজার ইউরো জরিমানা করেছে।

রাজস্ব বিভাগে জরিমানার অর্থ বকেয়া রাখায় রোনালদিনহোর দুটি পাসপোর্ট জব্দ করেছে আদালত। এর অর্থ হলো তিনি ব্রাজিল ছাড়তে পারবেন না। পিএসজি, বার্সেলোনা ও এসি মিলানের হয়ে মাঠ মাতানো এ কিংবদন্তি অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁর স্প্যানিশ পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়েছে। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে রোনালদিনহোর (২০০৩-০৮) বার্সেলোনা ক্যারিয়ারই সবচেয়ে উজ্জ্বল। কাতালান ক্লাবটির হয়ে দুবার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন রোনালদিনহো। ফুটবল ছেড়েছেন ২০১৫ সালে।

রোনালদিনহোর আইনজীবী অবশ্য সম্পদ বাজেয়াপ্তের খবর অস্বীকার করেছেন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বিচারিক গোপনীয়তার জন্য তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারছেন না। ব্রাজিলের হয়ে ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী এ খেলোয়াড়ের বিপক্ষে প্রথম তদন্ত শুরু হয় ২০০৯ সালে। আর এ তদন্ত শুরু করেছিল দেশটির পরিবেশবিষয়ক সরকারি আইনি অফিস। রোনালদিনহো ও তাঁর ভাইদের দ্বারা পরিবেশের কতটুকু ক্ষতি হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছিল এ দপ্তর।

সূত্র: প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত