মাত্র দেড় হাজার ডলারেই বেঁচে গেলো মেসি!

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৯, ১৩:২১ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯, ১৩:৪৫

২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলেছিলেন লিওনেল মেসি। আবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিও মেসি ও চিলির অধিনয়ক গেরি মেডেল। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর কনমেবল ও রেফারিকে নিয়ে ঝরো সমালোচনা করেন আর্জেন্টাইন ও বার্সা ফরোয়ার্ড।

কোপায় তৃতীয় হওয়ার পদকও নেননি মেসি। তিনি বলেন, ‘এমন দুর্নীতিগ্রস্ত আয়োজনের অংশ হওয়াকে অনুচিত বলে মনে করি। আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু আমাদের ফাইনালে যেতে দেওয়া হয়নি। দুর্নীতি, রেফারি এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য লোকে ফুটবল উপভোগ করতে পারে না।’

কনমেবল ও রেফারিকে নিয়ে সমালোচনা করায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবে মেসি এমনটাই গুঞ্জন উঠেছিল। তাবে তেমন কিছুই ঘটল না। বিস্ফোরক সে মন্তব্যের জন্য জরিমানা গুণেই পার পেয়ে যাচ্ছেন মেসি। জরিমানার অঙ্কও মাত্র দেড় হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা)।

পাঁচবারের ‘ব্যালন ডি'অর’ জয়ী খেলোয়াড়ের ওপর এতটা কঠোর হয়নি কনমেবল। দেড় হাজার ডলারের পাশাপাশি এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০২২ বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে পারবেন না মেসি।

মেসির পাশাপাশি শাস্তি পেয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ক্লদিও তাপিয়াও। ফিফার অফিসিয়াল প্রতিনিধি পদ থেকে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩ জুলাই প্রকাশিত এক চিঠিতে কনমেবলের সমালোচনা করেছিলেন তাপিয়া। নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ফিফা কাউন্সিলে গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন বদলি হিসেবে যোগ দেন তাপিয়া। কনমেবল জানিয়েছে, তাপিয়ার শূন্যস্থান পূরণ করা হবে নির্বাচনের মাধ্যমে।