আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ৫ রান পায় ইংল্যান্ড

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৫:১৪

আইসিসির নিয়ম (১৯.৮) অনুযায়ী, ওভার থ্রোর বাউন্ডারির ক্ষেত্রে ফিল্ডার বল ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের পরস্পরকে ক্রস করতে হবে। তবেই সেই বাউন্ডারির সঙ্গে ফিল্ড রান যোগ হবে। এ নিয়ম প্রযোজ্য হলে ওভার থ্রোর বাউন্ডারির সঙ্গে বাড়তি এক রান পাবে ইংল্যান্ড।

শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের তখন দরকার ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে ছক্কা হাকানোর পর স্কোরে তখন দরকার ৩ বলে ৯ রান।

ওভারের চতুর্থ বলটি স্টোকস মারেন মিড উইকেটে। সেখান থেকে বলটি কুড়িয়ে উইকেটরক্ষকের উদ্দেশে ছুড়েন মার্টিন গাপটিল। সেই সময় দ্বিতীয় রানের জন্য প্রাণপণে ছুটেন স্টোকস। গাপটিলের ছোড়া বলটি উইকেটরক্ষকের কাছে পৌঁছানোর আগেই স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। ফলে ইংল্যান্ডকে ৬ রান উপহার দেন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।

এমসিসির আইন বইয়ের ১৯:৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যাটসম্যান দৌড়ে একে-অপরকে অতিক্রম করার আগেই থ্রো করা হলে, আর সেই থ্রোতে ওভার বাউন্ডারি হলে দৌড়ে নিতে যাওয়া রানটা বাতিল হয়ে যাবে আর ব্যাটসম্যানও বদল হবে। সে হিসাবে দৌড়ে নেয়া ২ রানের জায়গায় ইংল্যান্ড পেতো ১ রান। সঙ্গে স্ট্রাইকিং প্রাপ্তে স্টোকসের জায়গায় থাকতেন আদিল রশিদ।

এদিকে সাবেক শীর্ষ আম্পায়ার সাইমন টফেল বলেন, ইংল্যান্ডকে ওভার থ্রোতে ৬ রান দেয়া ঠিক হয়নি। ওভার থ্রো’র ব্যাপারটা ঠিক আছে। কিন্তু ক্রিকেটের আইন প্রণেতা হিসেবে পরিচিত মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব এমসিসির নিয়মানুযায়ী ইংল্যান্ড ৬ নয় ৫ রান পায়।

শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারি সংখ্যার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন হন স্বাগতিকরা। ফাইনালি লড়াই শেষে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ওই ওভার থ্রোতে আম্পায়ারদের দেয়া ৬ রান। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা।

টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, ডিপ মিডউইকেট থেকে গাপটিল বল ছোড়ার সময় স্ট্রাইক ব্যাটসম্যান স্টোকস এবং তার নন-স্ট্রাইক পার্টনার আদিল রশিদ দ্বিতীয় রানের সময় পরস্পরকে ক্রস করেননি। স্বভাবতই সেটি দুই রান হয় না, হয় এক! অথচ ধর্মসেনা ৬ রানের (২টি ফিল্ড রান ও ওভার থ্রোর চার) সংকেত দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত