অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে ম্যানসিটিকে হারিয়ে সেমিতে টটেনহ্যাম

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের বিপক্ষে বেশি গোল করেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি।

১৭ এপ্রিল (বুধবার) দিবাগত রাতে সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে টটেনহ্যামের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে এগিয়েছিল ম্যানসিটি। তবে প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দুইলেগ মিলিয়ে ড্র করে অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে সেমিফাইনাল নিশ্চিত কেরেছে টটেনহ্যাম।

এদিন ম্যাচের প্রথম ১১ মিনিটেই হলো ৪ গোল। দুই দলই পেল সমান দুটি করে গোল। ম্যাচের ৪ মিনিটের সময় ম্যানসিটির কেভিন ডি ব্রুইনের পাস থেকে বল পেয়ে বক্সের কর্নার থেকে জোরালো শটে টটেনহাম গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রহিম স্টার্লিং (১-০)।

তিন মিনিট পরই (৭তম মিনিট) গোল শোধ করে ফেলে টটেনহাম। সিটির ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্ত ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল ঠেলে দেন হিউং-মিনের পায়ে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে চোখের পলকে নেয়া তার শট গোলরক্ষক এদেরসনের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায় (১-১)।

তারও তিন মিনিট পর (১০ম মিনিটে) আরও এক গোল হিউং-মিনের। এবার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের কাছ থেকে বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে গিয়েছিলেন হিউং-মিন। জায়গায় দাঁড়িয়েই সেটাকে গোলে পরিণত করেন দক্ষিণ কোরিয়ান এই ফরোয়ার্ড (২-১)।

পিছিয়ে পড়া ম্যানসিটি পরের মিনিটেই সমতায় ফেরে। এবার বার্নার্ডো সিলভার পাস থেকে বক্সের ডানদিকে গোলরক্ষকের খুব কাছে বল পেয়ে যান আগুয়েরো। একজন ডিফেন্ডার সেটা আটকাতে আসলেও তার পায়ের নিচ দিয়ে দেয়া বল টটেনহাম গোলরক্ষককে পরাস্ত করে (২-২)।

২১তম মিনিটে এসে ম্যানসিটি আবারও এগিয়ে যায়। কেভিন ডি ব্রুইনের ক্রস থেকে আলতো ছোঁয়ায় গোল করেন স্টার্লিং (৩-২)। বিরতিতে যায় দুই দল।

এরপর অনেকটা সময় গোলের দেখা পায়নি ম্যানসিটি আর টটেনহাম। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলের গোলরক্ষকই দুটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন।

৫৯তম মিনিটে ডি ব্রুইনের কাছ থেকে থ্রো বলে আড়াআড়ি শটে জাল কাঁপান আগুয়েরো (৪-২)। ৭৩তম মিনিটে হটস্পারের হয়ে আরও একটি গোল শোধ করেন ফার্নান্দো লরেন্তে। কর্নারের পর কাইরন ট্রিপার হয়ে বল যায় লরেন্তের কাছে, হেডে তিনি সেটা জালে জড়ান (৪-৩)।

সেমিতে টটেনহ্যামের প্রতিপক্ষ আয়াক্স।