টানা ছয় মাস ধরে রেডিও এবং কেমোথেরাপি দিতে হবে রুবেলকে

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৯, ১৩:১২

সাহস ডেস্ক

ব্রেইন টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার শেষ করে গতকাল দেশে ফিরেছেন জাতীয় ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। তার টিউমারে কোনো ক্যান্সারের জীবাণু পাওয়া যায়নি, তবে টিউমারটির গ্রোথ বেশি হওয়ায় টানা ছয় মাস ধরে রেডিও এবং কেমোথেরাপি দিয়ে যেতে হবে তাকে।

৩০ মার্চ (শনিবার) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় হযরত শাহজালাল (র) বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

আজ ৩১ মার্চ (রবিবার) সকালে রুবেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে এসব তথ্য। গতকাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরে বারিধারায় নিজ বাসায় নিরিবিলি সময় কাটান রুবেল। পরে আজ সকালে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ডাক্তারের পরামর্শেই খুব কম কথা বলেন তিনি।

তবে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি রুবেল। কথা বলতে এখনো বেশ কষ্ট হলেও তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ফ্র্যাঞ্চাইজি, কামাল ভাই (বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল), নাফিসা কামাল (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের চেয়ারম্যান), বর্তমান ক্রিকেটার, সংগঠক, ভক্ত-সমর্থকরা আমার সার্বক্ষণিক খোঁজ নিয়েছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিলো বিধায় এগিয়ে আসেন রুবেলের সহধর্মিনী ফারজানা রুপা চৈতি। রুবেলের বর্তমান অবস্থান এবং পরবর্তী চিকিৎসার ব্যাপারে তিনিই কথা বলেন এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। জানান এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত হলেও, চিকিৎসা ঠিকই চালিয়ে নিতে হবে রুবেলের।

ফারজানা রুপা বলেন, ‘ক্যান্সারের জীবাণু নেই কিন্তু তার (রুবেল) যে টিউমারটা হয়েছে- সেটার গ্রোথ এতো বেশি যে ছয় মাসে ৩০টি রেডিওথেরাপি এবং ৫০টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। থেরাপিগুলো দেয়ার পর এমআরআই করানো হবে। সে রিপোর্ট দেখে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা। তাই আগামী ছয় মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

এ থেরাপিগুলো দেয়ার জন্য আগামী মাসের ১৪-১৫ তারিখ পুনরায় সিঙ্গাপুর যাবেন রুবেল। পরে ১৬ তারিখ থেকে শুরু হবে চিকিৎসা। যেহেতু রুটিন করে থেরাপিগুলো দিতে হবে, তাই প্রথম দেড় মাস সিঙ্গাপুরেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হবে। এরপরের থেরাপিগুলো প্রতি মাসে একবার করে সিঙ্গাপুর গিয়ে নেবেন রুবেল।

সবমিলিয়ে ৮০টি রেডিও এবং কেমোথেরাপি, আনুষঙ্গিক ওষুধপত্র, সিঙ্গাপুরে কয়েকদফায় প্রায় পৌনে তিন মাসের মতো থাকা মিলিয়ে এ দফায় অন্তত ৪০-৫০ লাখ টাকার প্রয়োজন পড়বে রুবেলের। এরই মধ্যে ১০ লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি। যার মধ্যে ৫ লাখ টাকা পেয়েও গেছেন রুবেল।

জাগোনিউজের সঙ্গে আলাপে রুবেলের পরিবারের পক্ষে থেকে কেউ মুখে ফুটে বলেননি আমাদের অমুক কেউ সাহায্য করুক। তবে জাতীয় ক্রিকেটারের চিকিৎসায় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে আসলে কাজ সহজ হবে এবং মোশাররফ রুবেলের পরিবারের ভার অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত