যেভাবে বেঁচে গেলেন ক্রিকেটাররা

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৯, ১২:২৬

সাহস ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হেগলি পার্কের কাছে আল নুর মসজিদসহ দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীর হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শেষে সেখানেই নামাজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অল্পের জন্য তাঁরা বেঁচে যান।

ঘটনার পর পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা হোটেলে ফিরে আসেন। তাদের এখন হোটেল থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

আগামীকাল শনিবার এই হেগলি ওভাল মাঠে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল। যদিও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেস্টটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, এতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আবার স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছে ২৯ জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা মসজিদের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষকে পড়ে থাকতে দেখেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনো কিছু বলা হয়নি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাজিমউদ্দিন চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। দলের  নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কাউন্সিলের পরামর্শ মেনেই এই সফরের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

মুখপাত্র জালাল ইউনুস সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, বাসে করে দলের বেশিরভাগ সদস্যই মসজিদে গিয়েছিলেন এবং যখন হামলার ঘটনাটি ঘটে, ঠিক তখনই তাঁরা মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভেতরে গোলাগুলির শব্দ শুনে দলের সদস্যরা সেখান থেকে নিরাপদে সরে আসেন। দলের কোনো সদস্যই এ ঘটনার মধ্যে পড়েননি।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়েন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে বলেছেন, ‘দলের সদস্যরা বাসে করে যাচ্ছিলেন। যখন বাস থেকে নামতে যাবেন, ঠিক তখনই গোলাগুলি শুরু হয়। তারা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, তবে ভালো আছেন।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, ক্রাইস্টচার্চের শহরতলি লিনউডের মসজিদেও সশস্ত্র পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। হেগলি পার্ক এলাকা ও আশপাশের লোকজনকে বাড়ি থেকে বের হতে মানা করা হয়েছে। এই পার্কের সামনের ডিয়েন অ্যাভিনিউয়ে আল নুর মসজিদটি অবস্থিত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত