সাকিবের অপারেশন হচ্ছে না

প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:০৩

সাহস ডেস্ক

হাতের আঙুল আর কখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না, এমন তথ্য দিয়ে গত শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাতে চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সংবাদটা মোটেও সুখকর ছিল না বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।

তবে অস্ট্রেলীয় শল্যবিদ গ্রেগ হয়-এর সান্নিধ্যে যাওয়ার পর একটি সুসংবাদ দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেটি হল তার আঙুলের অস্ত্রোপচারটা নাও করা লাগতে পারে। মেলবোর্নে ৭২ ঘণ্টা ডাক্তারি পর্যবেক্ষণে আছেন সাকিব।

জানা গেছে, অন্তত ৩ মাস লাগবে মাঠে ফিরতে। তবে মূল অপারেশন এখনই করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্তত ৬ মাস পর হতে পারে অপারেশন। হাতের ইনফেকশন পুরোপুরি ভালে না হলে হাড়ে অস্ত্রোপচার সম্ভব না। সুখবর একটাই যদি খেলা শুরুর পর ভালো ফিল করেন তবে নাও লাগতে পারে অপারেশন।

সাকিবের খুব কাছের মানুষ, বিকেএসপির কোচ ও মেন্টর সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে সাকিবের। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার এক নিকট আত্মীয় মেলবোর্নে সাকিবের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সাকিব সেখানে এক ক্লিনিকে ৭২ ঘণ্টা ডাক্তারের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে। সাকিব জানিয়েছে তার ইনফেকশনের অবস্থা দিনকে দিন ভালোর দিকে। আগামীকাল ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ শেষে হয়তো জানা যাবে ডাক্তারের সত্যিকার ভাষ্য।

মেলবোর্নের যে বিশেষজ্ঞ তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন তিনি নাকি সাকিবকে জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত অপারেশন লাগবে না। ইনফেকশন ভালো হয়ে গেলেও অন্তত ছয় মাসের আগে সাকিবের বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে সার্জারি করা যাবে না। তবে চিকিৎসক তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন আড়াই থেকে তিন মাস পর সাকিব খেলতে পারবে। আর যদি এই সময়ের মধ্যে ফের ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কোচ সালাউদ্দিন আরও জানিয়েছেন,  আরো একাধিক স্পেশালিস্টের শরণাপন্ন হবেন সাকিব। তাদের একজন সাকিবকে বলেছেন, আঙুলের ফ্র্যাকচারে সার্জারি না করে বিশেষ ধরনের চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা আছে। সেটা কার্যকর হলে ব্যথা অনুভূত হবে না। এমনকি অপারেশন আর নাও লাগতে পারে।

চোট নিয়ে এশিয়া কাপের চার ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু চোটের অবস্থার আরও অবনতি হলে দেশে ফিরে আসেন ফাইনালের আগেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন চোট পাওয়া হাতে প্রচণ্ড ব্যথা। গায়েও জ্বর জ্বর ভাব। দেরি না করে চলে যান হাসপাতালে। শুনলেন দুঃসংবাদ। চোট পাওয়া বাঁ হাতের কড়ে আঙুল থেকে সংক্রমণ (ইনফেকশন) ছড়িয়ে পড়েছে। পুঁজ জমে মারাত্মক অবস্থা। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অস্ত্রোপচার করে পুঁজ বের করা। এরপর গত তিন দিন অ্যাপোলো হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সাকিব।

এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান সাকিব। হাড়ে কোনো চিড় ধরা না পড়লেও বাঁ হাতের কনিষ্ঠার গোড়া মচকে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় টিস্যু। সাকিব চেয়েছিলেন, এশিয়া কাপে না খেলে এই সময় অস্ত্রোপচার সেরে ফেলবেন। কিন্তু পরে দলের চাহিদা মেনে খেলেছেন। এশিয়া কাপে চারটি ম্যাচও খেলেছিলেন। কিন্তু চোট ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় দেশে ফিরে আসেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত