রাশিয়া বিশ্বকাপের ভেন্যু পর্যবেক্ষণ করবেন বাফুফের মাহফুজা আক্তার

প্রকাশ : ১৩ মে ২০১৮, ১৮:০৮

২০১৮ রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। বিশ্বাস করাই কঠিন। তবে এটাই সত্য যে, জুন-জুলাইয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে ফিফা কাউন্সিল সদস্য হিসেবে বিশ্বকাপের ভেন্যু পর্যবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন কমিটির প্রধান কিরণ। বিশ্বকাপের একটি মাস তাকে ছুটতে হবে রাশিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।

কিরণের সামনে এই দায়িত্ব কঠিন হলেও দায়িত্বটা খুবই সম্মানজনক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধি খুবই উচ্ছ্বসিত। কিরণ বলেন, ‘ফিফা আমাকে দুটো অপশন দিয়েছিল—যে কোনো একটি ভেন্যুর দায়িত্ব গ্রহণ অথবা সব ভেন্যু পর্যবেক্ষণ। আমি পরেরটি বেছে নিয়েছি। আমার কাজ হলো প্রত্যেক ভেন্যুতে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা দেখা। ফিফা কাউন্সিল সদস্য হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব। আসলে রাশিয়ায় যাওয়ার পরই দায়িত্ব সম্পর্কে বিশদ জানতে পারবো। তবে শুনেছি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো বিশ্বকাপে বিশেষ দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন আমাকে। সেই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে চাই।’

বিশ্বকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের খেলা আজও কল্পনার অতীত। অথচ সেই ফুটবল মহাযজ্ঞেই লাল-সবুজ পতাকার তিনি প্রতিনিধি। সেজন্য কিরণ অবশ্যই গর্বিত। বাংলাদেশকে ফুটবলের শ্রেষ্ঠ আসরে নিয়ে যেতে পেরে তিনি আবেগে আপ্লুত, তিনি বলেন, ‘এটা শুধু আমার জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্যও অনেক বড় অর্জন। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ফিফার কাছে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ। আমার এই দায়িত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব ফুটবলের অনেক সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে গেছে। আমি তাই গর্বিত, আনন্দিত।’

গত বছর অস্ট্রেলীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ফিফা কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কিরণ। ফিফার কাজে অনেক দেশেই যেতে হচ্ছে তাকে। ফিফার দায়িত্বপূর্ণ পদে একজন বাংলাদেশিকে দেখে অবাক হয় অনেকেই। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় যেতে পেরে কিরণ একজনের কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ। তিনি হলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কিরণের কথা, “আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কীভাবে বাংলাদেশ থেকে ফিফাতে গিয়েছেন? আপনাদের শক্তির উৎস কোথায়?’ আমি তখন তাদের বলি, ‘আমাদের সভাপতি একজন দক্ষ সংগঠক, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ভালো যোগাযোগ।’ আসলে সভাপতির সাংগঠনিক দক্ষতা না থাকলে ফিফার নির্বাচনে জেতা কঠিন।”

বাফুফের পাশাপাশি এক দশক ধরে এশিয়ান ফুটবল কাউন্সিলে (এএফসি) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন কিরণ। তার কথা, ‘১০ বছর ধরে আমি এএফসির নির্বাহী কমিটির সদস্য। এশিয়ার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাফুফে সভাপতির মতো আমারও সম্পর্ক ভালো। আর তাই ফিফা কাউন্সিল সদস্য হিসেবে বিশ্বকাপে যেতে পারছি।’

বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে কিরণের অনেক স্বপ্ন। তার আশা, লাল-সবুজ পতাকা একদিন জায়গা করে নেবে ফুটবলের কঠিন অঙ্গনে। দুই বছর পর ফিফা মহিলা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নও ভাসে তার চোখে।

সাহস২৪.কম/খান/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত