চোখের জলে বুফনের বিদায়
প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৭, ১৭:০৭
৩৯ বয়স পেরিয়ে গেলেও পারফরম্যান্সে এখনো ছেদ পড়েনি জিয়ানলুইজি বুফনের। তবে চাওয়া পূর্ণ হয়নি বুফনের। প্লে-অফে সুইডেনের কাছে হেরে ২০১৮ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে ইতালি।
১৩ নভেম্বর (সোমবার) রাতে ইতালি সুইডেনের কাছে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ায় চোখের জলে আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারকে বিদায় জানান জুভেন্টাস গোলরক্ষক বুফন।
ইতালির ছিটকে পড়া নিশ্চিত হওয়ার পর দলটির খেলোয়াড়রা ভেঙে পড়েন। তবে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েন বুফন। শত শত ক্যামেরা খুঁজে নেয় চোখের জল লুকাতে ব্যস্ত থাকা এই বর্ষীয়ান গোলরক্ষককে। খেলোয়াড়, প্রতিপক্ষ এবং দলের কোচ এগিয়ে আসেন বুফনকে সান্ত্বনা দিতে।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ইতালির হয়ে ১৭৫টি ম্যাচ খেলেছেন বুফন। ২০০৬ সালে জার্মানির বার্লিনে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেন এই ইতালিয়ান গোলরক্ষক। ২০০০ সালে ইউরোর ফাইনালে হেরে যাওয়া ম্যাচের স্কোয়াডেও ছিলেন বুফন। এছাড়া ২০১২ সালের ইউরোর ফাইনালেও খেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে বিদায়ের ঘোষণা দেয়ার সময় বারবার চোখের জল মোছার বৃথা চেষ্টা করেন বিশ্ব ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়ে বুফন বলেন, ‘এটি হতাশাজনক। আমার জন্য নয় বরং ফুটবল আন্দোলনের জন্য। কেননা, আমরা এমন একটা জায়গায় ব্যর্থ হয়েছি সত্যিকারার্থেই যেটি দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটিই আমার সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। তবে বিদায়বেলায় আমার অন্য কোনো আক্ষেপ নেই। কেননা, সময় বয়ে চলে এবং (বিদায় বলার) এটাই সেরা সময়।’
এভাবে বিদায় নেয়াটা লজ্জা’র হলেও ইতালি অন্য সময়ের মতোই ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস বুফনের, ‘এটি লজ্জানক যে আমার শেষ অফিসিয়াল ম্যাচের সঙ্গে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হওয়ার তকম লেগে থাকবে। কিন্তু ইতালিয়ান ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে। কেননা, আমাদের গর্ব-অহংকার, সক্ষমতা, আত্মনিবেদন রয়েছে এবং বাজে সময়ের পর নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো পথ খুঁজে বের করার অতীত উদাহরণ রয়েছে। আমি এমন এক ইতালিকে রেখে যাচ্ছি যেটি জানে কীভাবে এর সম্মান রক্ষা করতে হয়।’
ইতালির হয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপ, দুটি কনফেডারেশন্স কাপ এবং চারটি ইউরো কাপ খেলার রেকর্ড রয়েছে বুফনের। মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলার গৌরব বুফনের নামের পাশে। ইতালি যদি রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারতো তবে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড গড়তে পারতেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক।
সাহস২৪.কম/খান/ আল মনসুর