গ্রহাণু পৃথিবীর মানবসভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে: এলন মাস্ক

প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৪৯

মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক বলেন, ‘দারুণ একটি নাম। তবে এ গ্রহাণুটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তবে আরও বড় একটি পাথর পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। বর্তমানে তা ঠেকানোর কোনো উপায় আমাদের হাতে নেই।’

১৯ আগস্ট (সোমবার) এ গ্রহাণুটি নিয়ে টুইট করেন মাস্ক।

মাস্ক তিনি বলেন, ‘বিশাল এক গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হেনে মানবসভ্যতা নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আমাদের হাতে তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘মিসরীয় বিশৃঙ্খলার দেবতা অ্যাপোপহিসের নামে নামকরণ করা একটি গ্রহাণু বিপজ্জনকভাবে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৯ হাজার মাইল দূর দিয়ে যাবে এ গ্রহাণুটি।’

আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল আকাশজুড়ে উজ্জ্বল আলো জ্বলে উঠবে। এখন ধীরে ধীরে তা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। একপর্যায়ে এটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দেখা যাবে। এক হাজার ১০০ ফুট প্রশস্ত গ্রহাণুটির কারণে পৃথিবীতে ক্ষতির আশঙ্কা কম।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গবেষক মেরিনা ব্রজোভিক বলেন, ‘২০২৯ সালে পৃথিবীর সন্নিকটে গ্রহাণু চলে আসার ঘটনা বিজ্ঞানের জন্য দারুণ একটি সুযোগ। অপটিক্যাল ও রাডার টেলিস্কোপ দিয়ে এটি পর্যালোচনা করা হবে। আমরা এর পৃষ্ঠদেশ পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাব।’

পৃথিবীর কাছ দিয়ে এত বড় আকারের গ্রহাণু অতিক্রম করার ঘটনা দুর্লভ। একই দূরত্ব দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিটার আকারের গ্রহাণু অতিক্রম করার ঘটনা আগেও পর্যবেক্ষণ করেছেন গবেষকেরা। তবে অ্যাপোপহিসের সমান আকারের গ্রহাণু সচরাচর পৃথিবীর কাছ দিয়ে অতিক্রম করে না।

দক্ষিণ গোলার্ধে রাতের আকাশে খালি চোখে আলোর গোলকের মতো দেখা যাবে গ্রহাণুটিকে।

নাসার সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যাপোপহিসের পৃথিবীতে প্রভাব ফেলার আশঙ্কা সামান্য। এখন থেকে অনেক দশকের মধ্যে লাখে একবার এ ধরনের আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে ভবিষ্যতে এর অবস্থানের সঠিক পরিমাপ বুঝে এর প্রভাবের বিষয়টি বের করা যাবে।

বর্তমানে যে ২ হাজার ‘প্রটেনশিয়ালি হ্যাজারডাস অ্যাস্টরয়েডস’ (পিএইচএএস) রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে এই অ্যাপোপহিস।

জেট প্রপালশন ল্যাবের জ্যোতির্বিদ ডেভিড ফারনোচিয়া বলেন, গ্রহাণুর প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে ছোট বরফধসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত