বাহুবলি'তে চেপে চন্দ্রযান-২'র যাত্রা স্থগিত

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৯, ১২:৪৪

কাউন্টডাউনের শেষ মুহূর্তে এসে স্থগিত হয়ে গেলো ভারতের হয়ে চাঁদে যাওয়ার দূত চন্দ্রযান-২। রাত ২টা ৫১ মিনিটে চন্দ্রযান-২ কে নিয়ে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল 'বাহুবলি'র।

ইসরো'র বিজ্ঞানীরা জানান, রকেট থেকে জ্বালানি লিক করছিল। তবে কখন সেটি উড়তে পারবে, তা বিষয়ে কিছু জানাননি বিজ্ঞানিরা।

জানা যায়, মহাকাশযান বহন করতে সক্ষম ভারতে 'বাহুবলি' নামে পরিচিতি পাওয়া এই রকেটের অজন ৬৪০ টন। আর চন্দ্রযান-২ এর ওজন ৩৮০০ কেজি। চন্দ্রযান-২ কে নিয়ে মাটি থেকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌছে দেওয়ার কথা বাহুবলির।

ইসরোর বক্তব্য, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতো শক্তিশালী ও ব্যয়বহুল রকেট ভারতের নেই। তাই পৃথিবীর চারপাশে পাক খাইয়ে খাইয়ে চন্দ্রযানকে একটু করে দূরে পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট দূরত্বে পৌঁছে গেলে এক লাফে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকবে সে। তার পর ধীরে ধীরে গতি কমিয়ে তাকে চাঁদের দিকে ক্রমশ ঠেলে দেওয়া হবে। পৃথিবীর চারপাশে পাক খাইয়ে দূরে ছুড়ে দেওয়ার এই প্রযুক্তির প্রয়োগ মঙ্গল অভিযানেও করা হয়েছিল। এবং প্রথম বারেই সফল হয় তা।

কম খরচে মহাকাশ পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড এর আগেও করেছিল ভারত। এবারে চন্দ্রযান-২ ও ভারত পাঠাচ্ছে সবচেয়ে কম খরচে। এতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৪ কোটি ডলার।

ইসরোর কর্তারা বলছেন, উৎক্ষেপণ নিয়ে চিন্তা নেই। আবহাওয়াও অনুকূল। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ নিয়েই চিন্তা বেশি। প্রাক্তন ইসরো প্রধান জি মাধবন নায়ারও বলেছেন এই জটিল প্রযুক্তি ভারতীয় বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চন্দ্রযান-২ নামবে চাঁদের এমন জায়গায় যেখানে আগে কোনও দেশের যান নামেনি বা মানুষের পা পড়েনি। ৬ বা ৭ সেপ্টেম্বরের কোনও এক সময় চন্দ্রযানের ‘ল্যান্ডার’ বিক্রম নামবে দক্ষিণ মেরুর কাছে। চাঁদের ৭০° অক্ষাংশে। ‘মানজিনাস সি’ এবং ‘সিমপেলিয়াস এন’ নামে দু’টি গহ্বরের মাঝে একটু উঁচু জমিতে। ৫০ বছর আগে নিল আর্মস্ট্রং এবং অলড্রিন চাঁদের নিরক্ষরেখার কাছে নেমেছিলেন। তার পর রাশিয়া ও চিনের ল্যান্ডার নেমেছে উত্তর মেরুর কাছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোনও দেশ পৌঁছয়নি। ইসরোর বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, ওখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না বললেই চলে। ফলে চাঁদের বিবর্তনের ইতিহাসের সূত্র মিলতে পারে সেখানে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত