সমুদ্রের প্লাস্টিক শনাক্ত হবে মহাশূন্য থেকে

প্রকাশ | ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৪৯

অনলাইন ডেস্ক

মহাশূন্য থেকে সাগরে প্লাস্টিক বর্জ্য খুঁজে বের করার কৌশল নিয়ে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। 

২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ইইউ’এর সেনটিল-টু উপগ্রহের কক্ষপথে স্থাপন করা হয় মাল্টি স্পেকট্রাল ইন্সট্রুমেন্টস বা এসএসআই নামের দুটি যন্ত্র। এটি পরিচালনা করছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, আর এটি দিয়ে কাজ করছেন পৃথিবী পর্যবেক্ষণরত বিজ্ঞানীরা।

এই মিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভূ-পৃষ্ঠের একটি ক্রমবর্ধমান মানচিত্র তৈরি করা। তবে এই প্রক্রিয়া উপকূলীয় অংশের জলের দৃশ্যও ধারণ করতে পারে। আর এটিই মহাসাগরে প্লাস্টিক বর্জ্য শনাক্ত করার একটি সুযোগ। কেননা প্রতি বছরে অন্তত আট মিলিয়ন টন প্লাস্টিক নদী কিংবা অন্যসব উৎসের মাধ্যমে সমুদ্রে আসছে। 

ড. বিয়ারম্যানের মতে, স্যাটেলাইটের ক্যামেরার রেজুলেশন ১০মিটার, এর কঠিন দিকটি হলো যে এই ক্যামেরায় শুধু সেসব বস্তুর ছবিই ধরা পড়বে যার একটি নির্দিষ্ট মাত্রার পিক্সেল তৈরি করতে পারবে।

তিনি বলেন, সেন্টিনেল উপগ্রহের ডিটেক্টরের বিশেষ গুণ। ভিন্ন ভিন্ন আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বোঝার ক্ষমতা রয়েছে যন্ত্রগুলোতে। ফলে প্লাইমাউথ বিজ্ঞানীরা ক্যামেরায় তোলা চিত্রের পিঙেল বিশ্লেষণ করতে পারবে।

যেভাবে প্লাস্টিক শনাক্ত করা হবে :
সমুদ্রের পানি নিকটবর্তী ইনফ্রারেড রশ্মি জোরালো ভাবে শোষণ করে। উদ্ভিদ এবং জলে ভাসমান অন্যকিছু এই নিকটবর্তী ইনফ্রারেড রশ্মি প্রতিফলিত করে।

যে ভাসমান বস্তুর ছবি সংগ্রহ করে তার পিঙেল বিশ্লেষণ করেই বলা সম্ভব তাতে উদ্ভিদ উপাদান বা প্লাস্টিক উপাদান কেমন রয়েছে। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবির বর্ণালী বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন বস্তুর একটি সূচিও তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তী পর্যায়ে ছবিগুলো বিশ্লেষণের জন্যে অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হবে। কেননা ধরে ধরে অনুসন্ধান সময় সাপেক্ষ ও বাস্তব সম্মত নয়। অটোমেশনই এর একমাত্র পথ। ড. বিয়ারম্যান প্লাস্টিক বর্জ্য বেশি পরিমাণে নিঃসরণ হয় এমন সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আর দনম করতে তথ্যগুলো ডেটাবেজের সাথে যুক্ত করছেন।

সাহস২৪.কম/ইতু