ব্ল্যাক হোল দেখতে কেমন

প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:০২

অনলাইন ডেস্ক

প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি ধারণ এবং প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) এক প্রেস কনফারেন্সে ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবি প্রকাশ করা হয়।

তারা জানায়, মেসিয়ার বা এম-৮৭ নামের এক ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে বৃহদাকার এই ব্ল্যাক হোল এবং তার ছায়ার ছবি ধারণ করা হয়েছে।

ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবিটি তুলেছে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ কোলাবোরেশন বা ইএইচটি। দুই শতাধিক বিজ্ঞানী এই প্রকল্পে কাজ করছেন। এই ছবি তোলার জন্য তারা এক দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন।

ব্ল্যাক হোল-
ব্ল্যাক হোল হলো এমন একটি জায়গা, যেখানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে আর ফিরে আসে না। এমনকি আলোও এই গহ্বরকে অতিক্রম করতে পারে না।

নাম গহ্বর হলেও ব্ল্যাক হোলের মধ্যে কিন্তু পুরোটা ফাঁকা জায়গা নয়। বরং এর মধ্যে খুব অল্প জায়গায় এত ভারী সব বস্তু আছে যে এসবের কারণে তীব্র মহাকর্ষীয় শক্তি উৎপন্ন হয়।

ব্ল্যাক হোলের পেছনে ‘ইভেন্ট হরাইজন’ নামের একটি স্থান আছে, যাকে বলা হয় ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’। এই জায়গায় মহাকর্ষীয় শক্তি এতটাই তীব্র যে এখান থেকে কোনো কিছুই আর ফেরত আসতে পারে না।

ছবিতে দেখা গেছে, হলুদ রঙের ধুলো ও গ্যাসের একটি চক্র প্রকাণ্ড ব্ল্যাক হোলটিকে ঘিরে আছে। এম-৮৭ ছায়াপথের মাঝখানে, পৃথিবী থেকে ৫ কোটি ৫০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান। ব্ল্যাক হোলটি ৪ হাজার কোটি কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এবং পৃথিবী থেকে ৩০ লাখ গুণ বড়।

এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলার জন্য ২০১৭ সালে বিজ্ঞানীরা একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। অবশেষে সফলতার মুখ দেখলেন তারা।

সাহস২৪.কম/ইতু