নতুন পরিকল্পনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:০১

সাহস ডেস্ক

যন্ত্র যখন বুদ্ধিমান মানুষের মতো কাজ করে বা প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এটি ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নানা ধরনের উদ্যোগ এবং প্রতিনিয়ত নতুন উদ্যোক্তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে নানা রকম কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কিছু ব্যবহারের কথা বলা যায়, যেগুলোর ওপর ভিত্তি করে নতুন উদ্যোগ ও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া যায়।

চ্যাট বট:
আমাদের নিত্যদিনকার কিছু সাধারণ ঘটনার উদাহরণ দেওয়া যাক। আমরা রেস্তোরাঁয় ফোন করে জানতে চাই কয়টা পর্যন্ত খোলা, খাবারের মেনু কী কিংবা আসন সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। চিকিৎসকের সাক্ষাৎকারের জন্য তিনি আছেন কি না, চেম্বারে কখন আসবেন সে তথ্যও জানতে চাই। প্রতিবছর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে লাখ লাখ পরীক্ষার্থী টাকা খরচ করে এসএমএস করে ফলাফল পেতে চাই। এই সব সেবা ‘চ্যাট বট’–এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কোনো মানুষের ফোন রিসিভ করে বা অনলাইনে বসে থেকে উত্তরগুলো দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

গ্রাহক সেবা:
প্রতিদিন অসংখ্য লোক গ্রাহক সেবা পাওয়ার জন্য ফোন করে থাকেন মোবাইল অপারেটর, ব্যাংক, বিমা, বিভিন্ন করপোরেট অফিসের গ্রাহক সেবা প্রতিনিধির কাছে। অনেক সময় গ্রাহকদের ফোন করে অপেক্ষা করে থাকতে হয়। এতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা প্রতিনিধির বদলে সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই সেবাগুলো দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে গতানুগতিক ধারার সাধারণ প্রশ্নের জন্য এটি বেশ ভালোভাবেই কাজ করবে।

নোটিফিকেশন সেবা:
আপনি হয়তো কোনো নায়ক বা নায়িকার ছবি দেখতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনার সময় নেই প্রতি সপ্তাহে খুঁজে বের করা নতুন কোনো অ্যাকশন সিনেমা এল কি না। আবার বেড়াতে যেতে চান, কিন্তু আপনি জানেন না কোন সময় হোটেলের ভাড়া বা বিমানের টিকিটের দামে ছাড় থাকবে। ওদিকে, প্রতিদিন তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে বা ফোন করে করে এই তথ্যগুলো নেওয়াটাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু যদি এমন হতো এসব তথ্য আপনি ই–মেইল বা এসএমএসে পেয়ে যাবেন। আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হলো। অর্থাৎ, যে কাজটি হয়তো আপনার ব্যক্তিগত সহকারী বা ম্যানেজার করতেন, সেটি এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি প্রোগ্রামই করে দিতে পারবে।

রোবট ও ড্রোন:
রোবট এবং ড্রোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশ এগিয়ে গেলেও ছোট ছোট কিছু বিশেষায়িত কাজে এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, দুর্গম এলাকায় জরুরি সময়ে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হলে ড্রোনের মাধ্যমে সেই রক্ত সরবরাহ করা যেতে পারে, বাঁচানো যেতে পারে মহামূল্যবান প্রাণ।

এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন ধারণার, নতুন নতুন উদ্যোগের। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোনো জাদুর বাক্স নয়; উপযুক্ত বিচার-বিশ্লেষণ এবং সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরই কেবল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা–নির্ভর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। মানুষের সহজাত বুদ্ধিমত্তার জুতসই ব্যবহারের মাধ্যমেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যকরী ব্যবহার সম্ভব।

সাহস২৪.কম/ইতু

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত