মহাকাশে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড

প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:৩১

সাহস ডেস্ক

অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে মানুষের হৃৎপিণ্ড তৈরি করার চেষ্টা করছেন। শুনতে উদ্ভট হলেও এই বিষয়টি নিয়েই কাজ করছে মহাশূন্য-প্রযুক্তি কম্পানি ‘টেকশট’। নাসার সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ শুরু হয়।

তাদের দাবি অনুযায়ী আগামী ১০ বছরের মধ্যে মহাশূন্যে মানুষের হৃৎপিণ্ডকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে।

পৃথিবীতে অবস্থিত ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরি করায় একটি বড় বাধা হচ্ছে মহাকর্ষ বল। কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরি করার জন্য একটি ছাঁচ ব্যবহার করতে হয়। সমস্যাটি ঘটে এই ছাঁচটি বের করে আনার সময়। হৃৎপিণ্ডটি পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে এটি বের করে আনা অনেক দুঃসাধ্য। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রক্রিয়ায় হৃৎপিণ্ডটিই নষ্ট হয়ে যায়।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মহাকর্ষ বল না থাকলে পুরো প্রক্রিয়াটি একেবারেই সহজ হয়ে যাবে। কারণ মহাকর্ষ বল না থাকলে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরিতে ওই ছাঁচ বা কাঠামোর কোনো দরকারই হবে না। যার ফলে সফলতার হার বাড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন হৃৎপিণ্ডের অভাবে ২০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। ফলে টেকশট মনে করে, এই জায়গায় কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বড় পরিসরে কাজটি করতে পারলে হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাতে এটি কাজে আসবে।

চলতি বছরের মে মাসেই স্পেস এক্সের একটি রকেটে টেকশটের ল্যাবরেটরিটি আইএসএসে পাঠানো হবে। এই ল্যাবরেটরির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়ো ফ্যাব্রিকেশন ফ্যাসিলিটি’। এরপর প্রয়োজনীয় সংশোধনের জন্য পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে ল্যাবরেটরিটিকে। পরে সব পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হলে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যাবে কম্পানিটি। তবে প্রাথমিকভাবে আগামী দশকের মধ্যে প্রথম কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাহস২৪.কম/ইতু

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত