ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ

প্রকাশ : ০১ মে ২০২২, ১৭:১৮

সাহস ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে চলা করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশের ছিল কঠোর বিধিনিষেধ। এরফলে গত দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়নি ঈদের জামাত। তবে বিগত সময়ের চেয়ে এবারের পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দেশের একটি বড় অংশ টিকার আওতায় এসেছে, নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। তাই এবার জামাতের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৮ টায় অনুষ্ঠিত হবে প্রধান জামাত। জাতীয় ঈদগাহে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এ ঈদগাহ প্রস্তুতের কাজ করছে পিয়ারো সরদার অ্যান্ড সন্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ হাজার বর্গমিটার ময়দানে ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটারের প্যান্ডেল করা হয়েছে। ৩৪ হাজারের বেশি সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি মোট ২৫০ জন (ভিআইপি) পুরুষ, ৮০ জন (ভিআইপি) নারীর জন্য নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রবিবার (১ মে) জাতীয় ঈদগাহে ঘুরে দেখা গেছে, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। টেবিল ফ্যান বসানোর কাজ চলছে। আগেই শেষ হয়েছে বাঁশ দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নামাজের কাতারে বসানো হচ্ছে বিশেষ কাপড়। এ ছাড়া, বৃষ্টি এলে যেন মুসল্লিদের কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য প্যান্ডেলে ত্রিপল লাগানো হয়েছে। সব মিলিয়ে জামাত আয়োজনের প্রায় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জাতীয় ঈদগাহে মুসল্লিদের জন্য অজুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৪০ জন একসাথে অজু করতে পারবেন। মোট ১০টি এয়ার কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠে ৫৫০টি সিলিং ফ্যান, ১৫০টি স্ট্যান্ড ফ্যান, ৪০টি মেটাল লাইট ও ৭০০টি টিউব লাইট লাগানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে বৈরী আবহাওয়া থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেছেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব প্রস্তুত। ঈদুল ফিতরে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‍্যাব সারা দেশে নজরদারি বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা জোরদারে নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহসহ বিভিন্নস্থানে র‍্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং সম্পন্ন করা হবে।

ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন। এর বাইরে কোনোকিছু সঙ্গে নিয়ে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। মুসল্লিদের আর্চওয়ে গেট দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। কারো সঙ্গে ব্যাগ থাকলে ব্যাগও তল্লাশি করা হবে। মুসল্লিদের নির্ধারিত সময়ের আগে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত