তালেবানদের বিজয়ে ফুঁসে উঠছে দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ায় সস্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ

প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২১, ১৯:০০

ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে! অবশ্য নিকট অতীতে আফগানিস্তান কখনোই ভালো ছিলো না। সম্প্রতি আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ১১টি প্রদেশ তালেবানদের দখলের পর আরও অন্তত একডজন প্রদেশ (বিশ্বের নানা গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী) যে কোন সময় তালেবানদের দখলে আসবে। অনেক জায়গায় সরকারি বাহিনী সাধারণ পোশাকে পালাচ্ছে কিংবা আত্মসমর্পণ করছে। সরকারি বাহিনীর সদস্যরাসহ বিপুল সংখ্যক আফগান শরণার্থীদের পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়ার খবরও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তালেবানদের দখলকৃত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার নারী ও শিশুরা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য কাবুলের দিকে ছুটছে। অনেক প্রদেশের বিভিন্ন শহরে সরকারি বাহিনী কার্যত অবরুদ্ধ। বাইরের সাহায্য না পেলে তালেবানদের হাতে কাবুলের পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এদিকে তালেবানদের দখলকৃত এলাকায় শরিয়া আইন ফিরে এসেছে অনেকটাই। সেখানে স্কুলসহ নানা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, এমনকি নারীদের হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুরুষ সঙ্গী ছাড়া নারীদের ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। তালেবানদের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্রের বরাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, “নিজেদের দখলকৃত এলাকার স্থানীয় নেতাদের ১২ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে তালেবান মুজাহিদীনরা। নিজেদের যোদ্ধাদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিতেই মেয়ে শিশুদের খোঁজ করছে তারা। তালেবানের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কেউ আইন অমান্য করলে তার সঙ্গে কঠোর আচরণ করা হবে।” তালেবানদের এমন কর্মকাণ্ডের সাথে বিশ্ব আগে থেকেই পরিচিত। আফগানিস্তানে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই তারা শরিয়া চালু করে, নারী শিক্ষা বাতিল করে। হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ ও মৌর্য যুগের সকল স্থাপনা ধ্বংস করে, গুড়িয়ে দেয় পাঠাগার, জাদুঘরসহ ঐতিহাসিক নানান স্থাপনা। সে সময় পুরো পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটে।

আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের আজকের এই অবস্থার বিষয় জানতে হলে দেশটির নিকট ইতিহাসে ফিরতে হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পরোক্ষ সহযোগীতায় ১৯৭৩ সালের ১৭ জুলাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহম্মদ দাউদ খান, বাদশাহ মুহাম্মদ জহির শাহকে উৎখাতের মাধ্যমে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করেন এবং আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। দাউদ এর আগে ১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন দাউদ। তিনি ছিলেন বাদশাহ মুহাম্মদ জহিরের চাচাতো ভাই। সেসময় দেশটিতে মার্ক্সবাদী পিডিপিএ-এর জনসমর্থন ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। ১৯৬৭ সালে পিডিপিএ-এর নূর মুহম্মদ তারাকী ও হাফিজুল্লাহ আমিনের নেতৃত্বাধীন খালক (জনতা) এবং বাবরাক কারমালের নেতৃত্বাধীন পারচাম (পতাকা) নামক দুটি উপদলে বিভক্ত হলেও জহির শাহের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা সৃষ্টির অভিযোগ করে দেশবাসীকে খেপিয়ে তোলা অব্যাহত রাখে। ১৯৭৩ সালে ক্ষমতা দখলের পর দাউদের সরকারে কমিউনিস্টরা ছিলো। সেই সময় থেকেই আফগানিস্তানের ইসলামপন্থিদের মদদ দেওয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও ইরানি জোট দাউদ সরকারকে কমিউনিস্টদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে আনতে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে। ১৯৭৫ সালে দাউদ তার সরকার থেকে কমিউনিস্টদের বাদ দেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে সরে গিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দিকে ঝুঁকে পড়েন।

ক্ষমতা দখলের পর রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ দাউদ খান নিজের রাজনৈতিক দল হিসেবে ন্যাশনাল রেভ্যুলেশনারি পার্টি গঠন করেন। এই দল রাষ্ট্রের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের একমাত্র কেন্দ্র হয়ে উঠে। ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি মাসে লয়া জিরগা রাষ্ট্রপতিশাসিত একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে একটি নতুন সংবিধান অনুমোদন দেয়। এ সময় দাউদ সরকার কর্তৃক পিডিপিএ-এর সদস্যদের ওপর চালানো ভয়াবহ নিপীড়ন। এছাড়া পিডিপিএ-এর একজন প্রথম সারির নেতা মীর আকবর খাইবারের রহস্যজনক মৃত্যু পিডিপিএ’র উভয় উপদলকে দাউদের সরকারের চরম বিরোধী করে তোলে। ১৯৭৮ সালের ২৭ এপ্রিল পিডিপিএ-এর প্রতি সহানুভূতিশীল আফগান সেনাবাহিনীর সদস্যরা দাউদ সরকারকে উৎখাত করে (সাউর বিপ্লব)। পিডিপিএ-এর মহাসচিব নূর মুহম্মদ তারাকী নবগঠিত আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের বিপ্লবী পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। গঠিত হয় আফগানিস্তান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। আফগানিস্তানের তারাকি সরকার সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। পিডিপিএ কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পরপরই আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চলে পিডিপিএ-এর সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দেয়। পাকিস্তান সরকার নতুন আফগান সরকারকে স্বীকৃতি এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখলেও বিদ্রোহীদের প্রতি তাদের সমর্থন বৃদ্ধি করে। পাকিস্তান ছাড়াও এসব বিদ্রোহে মদদ দেয়ার পাশাপাশি মুজাহিদদের গোপনে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা শুরু করে সৌদি আরব, আমেরিকা, চীন। আফগানিস্তানে শুরু হয় ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধ। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে চলমান গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে আফগান যুদ্ধ (১৯৭৯–১৯৮৯) শুরু হয়।

মুজাহিদীন নামে পরিচিত প্রতিরোধ যোদ্ধারা সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। কিছু মুজাহিদ দল পাকিস্তানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব থেকে সহায়তা লাভ করে। এই যুদ্ধে সুন্নি মুজাহিদীনদের পক্ষে পাকিস্তান আমেরিকা, সৌদি আরব, চীন ছাড়াও পাশে দাঁড়ায় যুক্তরাজ্য, মিশর, লিবিয়া, তুরস্ক, ইসরায়েল, পশ্চিম জার্মানি, ফ্রান্স। সুন্নি মুজাহিদীন সংগঠনগুলোর মধ্যে জামিয়াত-এ ইসলামি, শুরা-এ নজর, হেজব-এ-ইসলামি গুলবুদ্দিন, মক্তব আল-খিদামাত, হেজব-এ-ইসলামি খালিস, ইত্তিহাদ-ই ইসলামি, হারাকাত-ই-ইনকিলাব-ই-ইসলামি, এনএলএফ, মাহাজ-ই মিল্লি ইসলামি আফগানিস্তান উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে শিয়া মুজাহিদিনরাও যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সুন্নি মুজাহিদিন সংগঠনগুলোর মধ্যে হারাকাত-ই-ইসলামি আফগানিস্তান, আফগান হিজবুল্লাহ, আল-নসর, কোর অফ ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ডিয়ানস অফ আফগানিস্তান, শুরা-ই এঞ্জেলাব-ই ইত্তিফাক-ই আফগানিস্তান, ইসলামিক রেভোলিউশন মুভমেন্ট, ইউনিয়ন অফ ইসলামিক ফাইটার্স, রা’দ পার্টি উল্লেখযোগ্য। এসব শিয়া মুজাহিদীনদের সমর্থন দেয় ইরান। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়। তিন বছর পর ১৯৯২ সালে কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত-সমর্থিত আফগান কমিউনিস্ট সরকারের পতন ঘটে। এই যুদ্ধে প্রায় ০৫ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। প্রায় ৩০ লক্ষ বেসামরিক মানুষ আহত ও ৫০ লক্ষ বেসামরিক শরণার্থী পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়। ১৯৯২ সালে আফগান রাজনৈতিক দলগুলো পেশোয়ারে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে আফগানিস্তানে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিযুক্ত করে। অবশ্য আফগান নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার এই চুক্তির বিরোধী ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানি সহায়তায় কাবুলের ওপর বোমাবর্ষণ আরম্ভ করেন। ভূ-কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ আফগানিস্তানের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য পাশ্ববর্তী দেশগুলো এসব মিলিশিয়ার কোনো একটিকে সমর্থন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় কাবুলের কিয়দাংশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকারী তিনটি মিলিশিয়া বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯৯৫ সালের প্রথমদিকে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমদ শাহ মাসুদ কাবুলে এসব মিলিশিয়ার অধিকাংশকেই পরাজিত করতে সক্ষম হন এবং রাজধানীতে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। এসময় মুজাহিদদের একটি দল কট্টর জঙ্গী গোষ্ঠী তালেবান প্রতিষ্ঠা করে এবং ১৯৯৪ সালে তালেবানরা প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহারে একটি নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৯৬ সালের মধ্যে তারা পাকিস্তানি গোলন্দাজ বাহিনীর বিপুল সহায়তা এবং সৌদি আরবের আর্থিক সহযোগিতায় পুনঃগঠিত হয়। ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে তারা কাবুলে ক্ষমতা দখল করে এবং আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠা করে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে বিমান হামলা চালিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে বহু মানুষের প্রাণহানী ঘটে। এ বর্বরোচিত হামলা উগ্র মৌলবাদী জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেনের আল কায়েদা করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে। আল কায়েদাকে আশ্রয় দিয়েছিলো তালেবান নেতা মোল্লা ওমর। আর এ অভিযোগের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ২০০১-এর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় উত্তরাঞ্চলীয় জোট তালেবানদের পতন ঘটায়। তালেবানদের পতনের পর জাতিসংঘ দেশটিতে বহুজাতিগোষ্ঠীয় সরকার স্থাপনে উৎসাহ দেয়। জার্মানির বন শহরে এ নিয়ে সম্মেলনের পর ২০০১-এর ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তার ৬ মাস পরে একটি মধ্যবর্তী সরকার গঠিত হয় যা ২০০৪ সালে একটি নতুন সংবিধান পাশ করে। নতুন সংবিধান অনুযায়ী আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট-ভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৪ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আফগানিস্তানের প্রথম সরাসরি ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং ৭ই ডিসেম্বর ক্ষমতায় বসেন হামিদ কারজাই। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক নির্বাচনে আশরাফ গণি আহমদজাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

আফগানিস্তানের এবারের সংকটের শুরু ২০১৯ সালের নির্বাচনকে ঘিরে। এরপর তালেবানদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এইচসিএনআর গঠিত হয়। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কাতারের দোহায় আফগানিস্তানের সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিদের চলা শান্তি আলোচনায় কোন ঐক্যমত্য হয়নি। কারণ শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়ে তালেবানরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, দেশে শরিয়া আইন বলবৎ না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছুতেই পিছু হটবে না। সেজন্য শান্তি আলোচনা চলমান অবস্থায়ও তালেবনারা বেসমারিক জনগণ ও সরকারি বাহিনীকে তাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েই চলছে। তাই আফগানিস্তানের মধ্যস্থতাকারীরা প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় যোগ দিলেও দেশটিতে সহিংসতা কমেনি।

আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই। হাজার বছরের সমৃদ্ধ সভ্যতার রাষ্ট্র আফগানিস্তানের সংকটের কেন্দ্রে রয়েছে প্রথাগত মূল্যবোধের সঙ্গে আধুনিক মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব। এই অঞ্চলে তালেবানদের শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে পুরো মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় সস্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া চলমান সংকট আবারও ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দেশটিকে। এ বছরের শুরুতেই প্রায় ২ হাজার বেসমারিক মানুষ তালেবানদের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে। এই সংকটে তালেবানদের বাধ্যতামূলক অস্ত্র সমর্পন না করাতে পারলে পুরো বিশ্বকেই ভুগতে হবে। দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের যে ক্ষতি হয়ে গেছে, তা হয়তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু আফগানিস্তানের বসবাসরত প্রায় চার (০৪) কোটি মানুষের জীবন রক্ষার জন্য আজকের বিশ্বের কি কিছুই করণীয় নেই?

লেখক: সাংবাদিক, নির্বাহী সম্পাদক সাহস২৪.কম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

লেখকদের নামঃ