'পিটিয়ে মেরে ফেলা' আরো ভয়াবহ অপরাধ

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:২০ | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:২৫

জামাত শিবির 'সন্দেহে' শুধু ছাত্রলীগ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা হাউস টিউটররা পর্যন্ত 'action' নেয়। জামাত শিবিরকে কি নিষিদ্ধ করা হয়েছে? সেই ২০১৩ থেকেই তো আমরা দাবী জানিয়ে আসছি জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার। যতদিন জামাত শিবির নিষিদ্ধ না হবে, ততদিন পর্যন্ত জামাত শিবিরের রাজনীতি করতে আইনত কোন বাধা নেই। কেউ জামাত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও আইনত সে অপরাধী নয়। তাকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না যদি না অন্য কোন অপরাধমূলক কাজের সাথে সে জড়িত না থাকে। আর একজন অপরাধীও হয় তাকে 'পিটিয়ে মেরে ফেলা' আরো ভয়াবহ অপরাধ।

বুয়েটে যারা পড়ে তাদের তো আমরা দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী হিসেবে ধরে নেই। অবশ্যই তারা যোগ্য এবং মেধাবী। যাকে মারলো এবং যারা মারলো - তারা সবাই তো বুয়েটের ছাত্র। দেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের এই অবস্থা? দেশের পিছনে বা আরো সংকীর্ণ ভাবে দলের পিছনে এদের ভূমিকা কী? অবদান কী?

এটা যেনতেন কোন ব্যাপার না। বুয়েটের হলের মধ্যে কেউ কাউকে চাইলে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে- এর থেকে ভয়ংকর কিছু আর হতে পারে না। জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সেই সাথে রাজনৈতিক দল গুলোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র উইং রাখার কোন যৌক্তিকতা আছে কিনা, সেটাও ভেবে দেখার সময় হয়েছে। ছাত্রদের কোন যৌক্তিক দাবীতে কোন সংগঠন ছাড়াই তারা একতাবদ্ধ হতে পারে সেটা আমরা দেখেছি। বরং বাম-ডান সহ সকল সংগঠিত ছাত্র উইং গুলো কেবল সমস্যাই সৃষ্টি করেছে। এই মূহুর্তে যদি আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগকে ডিজওউন করে, সাথে সাথে এই ফ্রাংকেস্টাইন গুলোর মৃত্যু ঘটবে। এখনো যদি এদের নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, কিছুদিন পর মানুষ রাস্তাঘাটে ছাত্রলীগকে ধরে পেটাবে।

আশা করছি বুয়েটের ছাত্ররাও তাদের প্রতিষ্ঠানের এই কলঙ্ক মুছতে একতাবদ্ধ হবে। দ্বিতীয় বর্ষের যে সম্ভাবনাময় ছাত্রটির জীবন শেষ হয়ে গেল, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করবে। মৃত্যু কি এতই সহজ?