কেন স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপিকে বয়কট করা উচিৎ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার বছরেই ২০০১ সালে বিএনপি প্রথম বাঙালি জাতিকে শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্থ করার কলঙ্ক লেপে দেয়। এই লজ্জা আমাদের সকলের, সকল বাঙালি জাতির, যে বাঙালি যুদ্ধ করে ভাষার জন্য, যুদ্ধ করে স্বাধীনতার জন্য। সেই সংগ্রামী বাঙালিকে তারা বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচয় করিয়েছে। যেই বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমারা একটা স্বাধীন দেশ পেতাম না, যার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন ভাষায়, নিজের ভাষায় গর্ব করে কথা বলতে পারতাম না, যিনি আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি আমাদের বাঙালির জাতির পিতা সেই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগ করেই বিএনপি’র জন্ম।

দলটির জন্ম যখন ক্যান্টনমেন্টে, দলপ্রধান একজন পাকিস্তানি চর। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সুবিধাভোগ করেই বিএনপির জন্ম। যেটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কোন বাংলার মানুষ মেনে নিতে পারেনা। আজ যদি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন তাহলে এই দুর্নীতিবাজ অগণতান্ত্রিক অবৈধ দল বাংলার মাটিতে মাথাচাড়া দিতে পারতো না। এটি বঙ্গবন্ধুর লাশের উপর জন্মানো অবৈধ দল। সুতরাং এই দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

স্বৈরাচারী এই দলটির আবিস্কারকরা বঙ্গবন্ধু হত্যার সুবিধাভোগীই শুধু ছিলেন না, স্বাধীনতাবিরোধী জামাতকে এই দেশে পুনর্বাসন ও রাজনীতি করার পূর্ণ সমর্থন ও অধিকার দিয়েছেন। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের এতবড় অবমাননাকারী দলের বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না। বিএনপি এর মত দল গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব এবং নিজামীকে মন্ত্রী বানিয়ে মাথায় করে রেখেছিল। অবৈধ এই দলটি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে। বিএনপি তার দোসর জামাতকে নিয়ে ধর্মের দোহাই দিয়ে অগণিত মন্দির ভেঙ্গেছে, হিন্দু হত্যা করেছে, ধর্মের নামে ধর্ষণ, লুটপাট চালিয়েছে। ১৯৭১ এর মত ২০০১ এর ঘটনা বাঙালি কভু ভুলতে পারবে না।

বিএনপি নেত্রীর শিক্ষাগত যোগ্য নেই। একটি দেশের বড় কোন একটি দলের নেত্রী যদি এইট পাশ হয় তাহলে সে দেশ চালাবে কিভাবে? যেখানে একটি বাস চালকের যোগ্যতাও কমপক্ষে এইট পাশ দরকার? আমরা জানি দেশের একজন প্রধান যদি অশিক্ষিত হয় ঐ জাতি অশিক্ষিত হওয়াটা স্বাভাবিক নয় কি? একজন অশিক্ষিত দেশ প্রধান বা দল প্রধান তো সেই দেশের মানুষকে অশিক্ষার অন্ধকারেই সারা জীবন রাখবে।

মেকাপ করা কোন নেত্রী এই বাংলার মানুষের দরকার নেই। এই বাংলার মানুষের দরকার সাধারণ একজন নেত্রী যেমনটা হচ্ছেন আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, তাহাজ্জুদ, ফজর, কোরআন পড়েন রোজ ভোরে উঠে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, মানুষ পোড়ান, জঙ্গি তৈরি করেন, মানুষকে মানুষের রগ কাটা শেখান এবং কাটাঁন। আইএসএস, বোকো হারাম, তালেবান, হামাস ইত্যাদি জঙ্গিগোষ্ঠীর নিষ্ঠুরতা দেখে বাংলার মানুষের শিক্ষা হওয়া উচিৎ। ধর্মের নামে ব্যবসা, রাজনীতি, মানুষ হত্যা বিএনপি-জামাত জোট ছাড়া কেউ করতে পারে না। ৬৩টি জেলায় বিএনপি এর আমলে বোমাবাজি তারই প্রমাণ।

তারা এতিমের টাকা মেরে খায়। এতিমকে ধোঁকা দেয়। আবার সেই মামলায় শাস্তি পেয়ে জেলে গেলে তার দলের কিছু অবুঝ লোকেরা দেশ পুড়িয়ে দেশের মানুষকে পুরিয়ে নেত্রীর মুক্তির দাবি করে। ওরা শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করতে চেয়েছিল। সেই গ্রেনেডে ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারাতে হয়েছিল আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা কর্মীর, এবং আহত হয়েছিল হাজারের অধিক কর্মী। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সব রাজাকার-জঙ্গী বেকসুর খালাস পেয়ে যাবে। জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে শাপলা চত্বর দখল করে নিবে।

ক্ষমতার লোভে বাসে আগুন দিয়ে, পেট্রোল বোমা মেতে যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, তারা অবশ্যই সন্ত্রাসী দল। বিএনপি হরতাল, সহিংসতা ছাড়া কোন জনকল্যাণ চাইনি এবং চায় না। যার অহরহ প্রমাণ আমরা ডানে বামে তাকালে দেখতে পাই, এবং ইতিহাসের সেই ২০০১-২০০৬ সালে ঘটে যাওয়া বাঙালির জীবনে কলঙ্কিত সময়গুলা আমাদের অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়।

বিএনপি তার দোসর জামাতকে নিয়ে এ যাবৎ ধর্মের দোহাই দিয়ে অগণিত মন্দির ভেঙ্গেছে, হিন্দু হত্যা করেছে, ধর্মের নামে ধর্ষণ, লুটপাট চালিয়েছে। ১৯৭১ এর মত ২০০১ এর ঘটনা সবার মনে থাকা উচিৎ। তাছাড়াও রয়েছে বিএনপি নেত্রীর জন্মদিন কয়টা সেটা তিনি নিজেও হয়ত জানেন না। 

তাছাড়াও বিএনপি প্রধান বেগম জিয়ার সন্তান যিনি হবেন আগামী দিনের বিএনপির প্রধান সবাই জানেন তার মা বেগম জিয়া এখন জেলে আর তিনি অসুস্থতার নাম করে বসে আছেন বিদেশে। মানলাম তিনি একজন অপরাধী দেশে এলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করাটাই স্বাভাবিক, তাই বলে তার মা জেলে! তিনি জেলে যাবার ভয়ে দেশে আসবেন না? তিনিও তো একজন নেতা? একজন সন্তান আপনার বিবেকের কাছে প্রশ্ন আপনার মা আপনার চোখের সামনে আগুনে পুড়ছে আর আপনি তা বসে বসে আরাম করে দেখবেন? নাকি আগুনকে ভয় না পেয়ে মাকে বাচাঁবেন? মায়ে পাশে থাকবেন? যার মা জেলে গেলেও তার কোন খবর থাকে না তিনি আপনার খারাপ সময়ে আপনার পাশে থাকবে এটা আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন?

গত দুই দিন আগেতো তিনি ফেইসবুক লাইভে আসলেন। তিনি নিজের অপকর্ম চাপা দেবার জন্য নানা ধরনের মিথ্যা কথা বললেন। তিন দেশের মানুষের জন্য কোন কথা বললেন না।

এখন আমরা আর মানুষ পোড়ানো সরকার চাই না। আমরা আর মানুষ পোড়ানো সরকারকে ভোটে দেখতে চাই না?

গণতন্ত্র? সেটা কি মানুষ মেরে? মন্দির ভেঙ্গে? হিন্দু হত্যা করে? ধর্মের নামে ধর্ষণ করে? লুটপাট করে? খাম্বা চুরি করে? এতিমের টাকা চুরি করে? এমন কোন রাজনৈতিক দল যখন গনতন্ত্র গনতন্ত্র করে তখন লজ্জা লাগে।

দেশে যতদিন আওয়ামী লীগের বিকল্প না তৈরি হবে ততদিন এই দেশ চালনার ক্ষমতা শুধু আওয়ামী লীগেরই থাকবে।

লেখক: ছাত্রলীগ কর্মী