‘তোর ইজ্জত থাকলে তুই থাম’

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৩২

দেশের রাস্তায় যখন হাঁটি, সামনের পুরুষ মানুষটির সঙ্গে যখন মুখোমুখি হই, তখন তিনি ভুলেও থামবেন না , ভাবটা এমন, “তোর ইজ্জত থাকলে তুই থাম, আমি আগে যামু, নইলে তুই তোর নিজ দায়িত্বে আমার হাত বা শরীরের ধাক্কা খা কিন্তু আমারে দোষ দিতে পারবি না।”

আর যদি না থেমে আগাই, তখন ধাক্কা দিয়ে ভাবটা দেখাবে, “কেন, আমারে দেখশ নাই, থামতে পারলি না, আমারে আগে যাইতে দিতে পারলি না ?” কিন্তু কাহিনী হল, আমি বেশীরভাগ সময় থামি এবং উনাদের যেতে দেই, কিন্তু উনারা তো যেতেই থাকেন, যেতেই থাকেন, কোন একজন থামার কোন নাম- গন্ধ নাই যে আমাকে যেতে দিবেন।

আর কোন দরজা দিয়ে ঢুকার সময় বেশীরভাগ মানুষ (পুরুষ ও মহিলা) পিছনে ফিরে এক সেকেন্ডের জন্য তাকাননা যে, দরজাটি কি কারও নাকের উপর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি যাচ্ছে না। আল্লার ওয়াস্তে দরজা খুলেই সামনের দিকে হাঁটা শুরু করে দেন। ভাবটা এমন কারও দিকে তাকানোর কয়েক সেকেন্ড কারও নাই। কিন্তু ব্রা -এর ফিতা কোন রকম বের হয়ে থাকলে তার থেকে কারও চোখ নামে না। এমন একটা ভাব যেন উপরে কোন কাপড় চোপড় নাই।

একটা অভ্যাস রপ্ত করেছিলাম, চোখাচোখি পড়লেই ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে (গ্রহন সূচক) সম্বোধন করা , সেইটা শুধু চোখ দিয়েও হতে পারে, হতে পারেন তিনি অপরিচিত বা পরিচিত। অপরিচিতরা এমন একটা চাহনি দেন,'' সমস্যা কি মেয়েটার ? পাগলখানা থেকে কি মাত্র মুক্তি পেলো নাকি? '' যদিও সেই চাহনির ক্ষেত্রে আমি হাসিটা মাঝে মাঝে আরও বড় হয়ে যায়। তখন লক্ষ্য করি, মানুষগুলো বার বার পিছে ফিরে তাকায় । তখন নিশ্চয় চিন্তা করে মেয়েটা নির্ঘাত পাবনা থেকে মাত্রই রিলিজ পেয়েছে।

আচ্ছা মেয়েদের কাছে একটা প্রশ্ন , কোন মেয়ে কোন মেয়ের চোখা-চুখি হলে ঠাস করে ঘাড় ঘুরিয়ে ফেলেন কিভাবে ?? শিখতে চাই...

বিঃদ্রঃ উপরের কথাগুলো সত্য কিন্তু নেহাত-ই মজা করার জন্য শেয়ার করা, কেউ ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না ।

শুভ সকাল !!

( মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি’র ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত