ত্বকের যত্নে গোলাপজল

প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪৮

সাহস ডেস্ক

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ এই উপাদানটি শুধুই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নয়, ত্বকের নানাবিধ উপকারে ও ত্বক সুস্থ রাখার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সকল আবহাওয়া ও সকল ধরণের ত্বকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায় বলে, ত্বকের পরিচর্যায় গোলাপজল রাখতে পারবেন সবাই।

ত্বকের প্রদাহ প্রতিরোধ করে
গোলাপজলে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ত্বকের প্রদাহকে প্রতিরোধ করতে কাজ করে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে সোরিয়াসিস ও একজিমার মতো ত্বকের  সমস্যার প্রকোপ কমাতেও চমৎকার উপকারি গোলাপজল কাজ করে।

কমে ব্রণর প্রকোপ
ব্রণের সমস্যাটি যদি বেশি হয় তবে অন্যান্য উপাদানের আগে গোলাপজল ব্যবহার করতে হবে।  উপরের পয়েন্টেই বলা হয়েছে যে, গোলাপজল ত্বকের সংক্রমণের সম্ভবনা কমিয়ে আনে। কারণ গোলাপজলে ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতাকে রক্ষা করে ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে কাজ করে। সেক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যাকে নিবৃত করতে গোলাপজল হতে পারে সবচেয়ে ভালো সমাধান।

দূর করে ত্বকের ক্লান্তিভাব
শীত কিংবা গ্রীষ্মকাল হোক না কেন, সারাদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ত্বকে ক্লান্তিভাব চলে আসবে। দ্রুত সময়ের মাঝে এই ক্লান্তিভাব দূর করতে চাইলে ছোট স্প্রে বোতলে করে ব্যাগে রাখতে হবে গোলাপজল। ঘন্টা দুয়েক পর মুখের ত্বকে গোলাপজল স্প্রে করে দিলেই আবারো ফিরে আসবে ত্বকের প্রানোচ্ছ্বল ভাব।

বলীরেখা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমে
আবহাওয়াজনিত সমস্যার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক চাপে খুব সহজেই চেহারার উপর বয়সের ছাপ পড়ে যায়। সেই সঙ্গে দেখা দিতে থাকে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা। বলীরেখা থেকে ত্বককে নিরাপদ রাখতে চাইলে গোলাপজল হতে পারে সবচেয়ে উপকারি একটি উপাদান। নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহারে ত্বকের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন উপাদানগুলোকে নিষ্ক্রিয় করতে অথবা বের করে দিতে কাজ করে। ফলে অসময়ে ত্বকে বলীরেখা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত