ভালবাসবেন যাকে

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০১

অনলাইন ডেস্ক

ভালবাসা আসলে কি? কারো সঙ্গে সারাদিন ঘুরলে, খাওয়া-দাওয়া, শপিং করলেই ভালবাসা হয়ে যায় না। যারে আজকে ভালো লাগছে এতো কাছের মনে হচ্ছে হয়ত সেই কিছুদিন পর অনেক দূরের একজন হয়ে যাবে। তাইলে ভালবাসবেন কাকে? আসুন জেনে নেই।

উৎসাহদাতা
আপনার যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেবে সে। চাকরির ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে যেকোনো কাজ যেন ভালো হয় সেটার জন্য সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। আর যখন কাজটা হয়ে যাবে সেই সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।হতে পারে কোনো বোর্ড গেইম খেলার সময় সেই আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।তবে সে সবসময় চাইবে আপনি জয়লাভ করুন।

পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে নাযে সম্পর্কের শুরুতেই আপনার কিছু বিষয় বদলাতে বলবে সে আসলে কখনও আপনাকে ভালোবাসবে না। আপনার বন্ধু কে হবে, কী পোশাক পরবেন, কোনো শখের বিষয় ছাড়তে বললে বা যে কাজ করতে ভালোলাগে সেটা তার ভালোলাগে না বলে ছাড়তে বললে বুঝতে সে আপনার জন্য নয়। তাকেই ভালোবাসুন যে আপনাকে পরিবর্তন করে নয় বরং আপনি যা সেভাবেই আপনাকে চায়।

তারিফ করা
হতে পারে সে ভালো নৃত্য শিল্পী, ভালো গান করে, শিল্পসাহিত্য সম্পর্কে অনেক জ্ঞান বা কোনো গুন আপনাকে মুগ্ধ করে— যেটাই হোক না কেনো তার যে কোনো বিষয় আপনি তারিফ করবেন, তার জানা বা করা বিষয়গুলো নিয়ে গর্ব করবেন এবং তার বিজয়ে আপনি খুশি হবেন। এরকম হলে সেই আপনার ভালোবাসার মানুষ।কিছু মানুষ আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। তবে যে আপনার মধ্যে কোনো প্রকার খারাপ বোধ তৈরি না করে আপনার আবেগ বুঝে ‘স্পেস’ দেবে বুঝতে হবে সে আপনাকে আসলেই ছাড় দিচ্ছে।একইভাবে তাকেও আপনার ছাড় দিতে হবে। ফলে যখন আবার দুজন একসঙ্গে থাকবেন তখন আরও বেশি দুজন অন্তরঙ্গ হতে পারবেন।আর এরকম মানুষকে ভালোবাসতে দ্বিধা করবেন না।

আপনাকে যে হাসাবে
হাসতে কে না চায়? মানুষের জীবনে অনেক ঝামেলা আসে। আর সেরকম সময়ে যদি সে আপনার মুখে হাসি ফুটিয়ে পৃথিবীটাকে উজ্জ্বল করে দেয় তবে সেই মানুষকে ভালোবাসাই যায়।

সরাসারি প্রকাশ
অনেক ভালো সম্পর্কের মধ্যে কিছু বিষয় খারাপ লাগতেই পারে। আর সেসব বিষয় নিয়ে যদি সঙ্গীর সঙ্গে আলাপ করতে কোনো দ্বিধা বোধ না করেন তবে সেই আপনার জন্য ভালোবাসার মানুষ। একইভাবে সেও আপনার কোনো বিষয় নিয়ে অভিযোগ করতে পারে, আর বিস্ময়কর হলেও সত্যি সেটা শুনে আপনার খারাপ লাগবে না বরং নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করবেন।

চোখে ভাসবে তারই মুখ
অফিসের ‘কিউট’ মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোলাগে না, বাসে উঠলে অন্য কোনো মেয়ের দিকে নজর যাচ্ছে না। বরং সবসময় একজন বিশেষ মেয়েকে নিয়ে ভাবতে ভালোলাগছে? ছেলে হয়ে যদি এই সমস্যায় পড়েন তাহলে বুঝতে হবে, আপনি আপনার ‘স্পেশাল ওয়ান’কে খুঁজে পেয়েছেন।

আপস করা
সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকবেই। আর সেগুলো আলোচনা করে ছাড় দিয়ে ঠিক করাও যায়। ভালোবাসার সম্পর্কে দুজন দুজনের ক্ষেত্রে আপস করতে হবে। আপসবিহীন সম্পর্ক সামনের দিকে যেতে পারে না।

এই ভালোবাসা দিবসে আর অপেক্ষা নয়। নিজের মনের কথাগুলো বলার এখনি সঠিক সময়। এই ভালোবাসা দিবসে সকলের মনে ভালোবাসা নিয়ে আসুক। এই ভালোবাসা দিবসে নিজের মনের শুদ্ধ মানুষটিকে বেছে নিন।