রেস্তোরাঁর মান নির্ধারণে চালু হলো গ্রেডিং সিস্টেম

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৭

সাহস ডেস্ক

রেস্তোরাঁয় সবুজ স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এখানকার মান এ+ (এ প্লাস) অর্থাৎ উত্তম। মান খারাপ হলে থাকবে কমলা রংয়ের স্টিকার। এই রংয়ের স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এটি অনিরাপদ। কমলা স্টিকারযুক্তরা এক মাসের মধ্যে রেস্তোরাঁর মান ভালো না করলে বাতিল হবে তাদের লাইসেন্স।

রবিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনের ফারস হোটেলে এই গ্রেডিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, গ্রেডিং সিস্টেমের আওতায় খাবারের মান, বিশুদ্ধতা, পরিবেশ, ডেকোরেশন, মনিটরে রান্নাঘরের পরিবেশ দেখা যাওয়ার ব্যবস্থা ও ওয়েটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিতে রেস্তোরাঁগুলোতে চার ক্যাটেগরিতে চিহ্নিত করা হবে। এসব বিচারে ৯০ নম্বরের বেশি স্কোর হলে রেস্তোরাঁটি ‘এ+’ ক্যাটেগরির বলে গণ্য হবে এবং এতে থাকবে সবুজ রঙের স্টিকার। স্কোর ৮০ এর ওপরে হলে রেস্তোরাঁটি গণ্য হবে এ ক্যাটেগরির এবং থাকবে  নীল রঙের স্টিকার।  হোটেলের সার্বিক মান ৫৫ থেকে ৭৯ –এর মধ্যে হলে এটি গণ্য হবে মোটামুটি মানের খাবার হোটেল হিসেবে। এটি তৃতীয় ধাপের রেস্তোরাঁ, এর মান হবে ‘বি’ ক্যাটেগরির  আর  এতে লাগানো থাকবে হলুদ বর্ণের স্টিকার। হলুদ স্টিকারধারী রেস্তোরাঁকে আপাতত তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে তাদের মান ও গ্রেড উন্নতির জন্য।

যারা খাবার খেতে যাবেন- তারা রেস্তোরাঁয় প্রবেশের সময় স্টিকার দেখেই জেনে নিতে পারবেন, এখানকার ভেতরের পরিবেশ পরিস্থিতি কেমন, কিচেনের অভ্যন্তরের কী ধরনের দূষণ বা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রয়েছে।

২০১৮ সালের এপ্রিলের ২ তারিখে কস্তুরী হোটেলে স্টিকার লাগিয়ে এই কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন ও সচিবালয় এলাকায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে এই উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে এসব এলাকার মোট ১৮টি ‘এ+’ এবং ৩৯টি ‘এ’ গ্রেডের স্টিকার দেয়া হবে।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার বলেন, অনেকে এসএসসি-এইচএসসিতে ‘এ’ প্লাস পেয়ে থাকে। কিন্তু তারা কি সেটা শেষপর্যন্ত ধরে রাখতে পারে? ছোটকালে কেউ চিন্তা করে ডাক্তার হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু বড় হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যায়। তেমনি আপনাদের যারা ‘এ+’ প্লাস ও ‘এ’ গ্রেড পেলেন আমরা আশাকরি সরকারের দেয়া এই স্বীকৃতিটুকু ধরে রাখবেন। রেস্তোরাঁর ভালো মান বজায় রাখতে হবে। মনে রাখবেন আমরা একাত্তরে জীবনত্যাগ করেছি, এখন যদি ব্যবসায়িক লোভ ত্যাগ না করতে পারি তাহলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অনেকটাই কঠিন হবে।

ভালো গ্রেডপ্রাপ্তদের উদ্দেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আপনাদের এই স্বীকৃতি সরকারি স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে আপনাদের ব্যবসা ও লাভ আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়ে যাবে। আশাকরি আপনারা সঠিকভাবে ব্যবসা করবেন।

তিনি আরও বলেন, ভালো গ্রেডপ্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ রেস্তোরাঁর মান যে কমবে না এটা কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না। তাই আমি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত