পিঠে সুবাসে মজেছে গ্রাম বাংলা

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৩

সাহস ডেস্ক

১)ঝিনুক পিঠা : নামেই বাহার। ঝিনুকের মতো দেখতে হয় এই পিঠে। বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শীতের খাদ্য। আটা বা ময়দা পরিমাণ মতো, চিনি, নারিকেল কোরানো, সয়াবিনের তেল, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে মণ্ড তৈরি করতে হবে। তালপাখা ব্যবহার করে ঝিনুকের মতো আকৃতির পিঠে তৈরি করা যায়। হালকা বাদামি রং হলে নামিয়ে চিনির সিরার মধ্যে চুবিয়ে অন্য পাত্রে রাখুন।

২) মুরগি পিঠা: চালের গুঁড়ো, মুরগির কিমা, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, মরিচের গুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি এবং ভাজার জন্য সয়াবিনের তেল লাগবে এই পিঠা তৈরি করতে। এরপর পরিমাণ মত তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিয়ে হবে। তারপর উপকরণের ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ কুচি বাদে সব মশলা দিয়ে মুরগির কিমা কষিয়ে পুর তৈরি করতে হবে। আঁচ থেকে নামানোর আগে ধনে পাতা ও কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। এরপর অন্য পাত্রে গরম পানিতে নুন দিয়ে চালের গুঁড়ো দিয়ে সেদ্ধ করে মেখে ময়েন তৈরি করে নিন। এবার ময়েন থেকে নিয়ে রুটির মত বেলে ডিজাইন অনুযায়ী কেটে মুরগীর পুর ঠেসে দিয়ে ভাঁজ করে রাখতে হবে। তারপর একটি পাত্রে তেল গরম করে ডুবো তেলে হালকা আচে ব্রাউন করে ভেজে পরিবেশন করতে হবে।

৩) ডিমের পিঠা: এটি তৈরি করতে দুধ, চিনি, খোয়াক্ষীর, ডিমের সাদা অংশ, ময়দা, এলাচ গুড়া, ঘি সব কিছুই দিতে হয়। তারপর প্রথমে একটি পাত্রে সামান্য দুধ নিয়ে চিনি, খোয়াক্ষীর, ডিমের সাদা অংশ, ময়দা, এলাচ গুড়া ও সামান্য পানি দিয়ে ভাল করে গুলিয়ে নিতে হয়। এবার তাওয়ায় ঘি মাখিয়ে বেশ গরম করে গোলা ময়দা হাত দিয়ে তাওয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে। দুই পিঠ ভালো করে ভেজে তাওয়া থেকে উঠিয়ে অন্য পাত্রে রেখে চিনি ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হয়।

৪) হাতকুলি: আগে পুর বানিয়ে ছোট ছোট পুরির আকারে নারকেল দিয়ে পুর ভরে ভালোভাবে আটকে মুখ বন্ধ করে দিতে হবে। পিঠার মুখ ভালো করে না আটকালে দুধে ভেজালে ভেঙে যেতে পারে। এভাবে সব পিঠা বানানো হলে চুলায় গুড়-জল দিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। আস্তে আস্তে ঘন দুধ দিয়ে আরও দু-তিন মিনিট রেখে ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পিঠা ছড়িয়ে দিতে হবে। পিঠা সিদ্ধ হয়ে গেলে মাওয়া দিয়ে মাখাতে হবে। সুন্দর বাটি বা ডিশে বেড়ে ওপরে বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

৫) নকশি পিঠা: জলে নুন ও ঘি দিয়ে তার উপর চালের গুঁড়ো দিয়ে সেদ্ধ করে কাই বানাতে হবে। আধ ইঞ্চি পুরু করে রুটি বানিয়ে পছন্দমতো আকার দিয়ে কেটে দিতে হবে। পছন্দমতো নকশা করতে গেলে প্রয়োজন খেজুর কাঁটা । এরপর ডুবোতেলে ভেজে নিতে হবে পিঠে। কিছুক্ষণ পর আবার তেলে ভেজে ১ মিনিট রেখে তুলে নিতে হবে। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করা যেতে পারে।

৬)তিল পুলি: নারকেল আর নলেন গুড় দিয়ে পুর বানিয়ে নিতে হবে। এরপর এলাচ, তিল ও চালের গুঁড়ো দিয়ে আরও একটা পুর বানিয়ে পিঠার ব্যাগে ভরে দিতে হবে। রেডি নারকেলের তিল পুলি।

৭) লাল পুয়াপিঠা:  আতপ চালের গুঁড়ো, বাটা নারকেল আধা কাপ, ময়দা , বেকিং পাউডার, খেজুরের গুড় , জল, ডিম , নুন, একসঙ্গে পরিমাণ মতো একসঙ্গে মিশিয়ে ৩০ রেখে দিতে হবে। এবার তেল গরম হলে গোল চামচে গোলা নিয়ে একটা একটা করে ভেজে তুলে নিলেই রেডি লালপুয়া পিঠা।

৮) তেল পিঠা: চালের গুঁড়ো, খেজুর গুড়, কালো জিরে নুন একসঙ্গে স্বাদ এবং পরিমাণ মতো মিশিয়ে গরম জল ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর পুর চালগুঁড়ির মধ্যে ওই উপকরণ দিয়ে তেলে ভেজে গাঢ় বাদামী রঙ হলেই তা পরিবেশন করতে হয়।

৯) লবঙ্গ লতিকা: ময়দা, চালের গুঁড়ো, নুন একসঙ্গে নিয়ে জল দিয়ে মাখিয়ে ময়েন দিতে হবে। তারপর দুধ জ্বাল দিয়ে নারকেল কোড়া চিনি বা গুড় দিয়ে জ্বালিয়ে পুর বানিয়ে নিন। এরপর রুটির মত গড়ে গোল করে কেটে ওর মধ্যে নারকেলের পুর দিয়ে চারদিক দিয়ে ভাঁজ করে মাঝখানে লবঙ্গ গেঁথে মুখ আটকে দিন। এবার গরম তেলে একটি একটি করে ডুবো তেলে ভেজে গরম গরম পরিবেশন করতে হয়।

রয়েছে পাকা কলার পিঠা, ম্যারা পিঠা, ছিটা পিঠা, পাকানো পিঠা, মুগের পুলি পিঠাও রয়েছে তালিকায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত